বাঁকুড়া: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পের কার্ডে এবার চিকিৎসার নামে ‘জালিয়াতি’র অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ায়৷ বিষয়টি সামনে আসার পরই এবিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য দফতর৷ ইতিমধ্যে তিনটি বেসরকারি নার্সিং হোমকে শোকজ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার এক রোগীর পরিবারের তরফে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়৷ তদন্তে নেমে স্বাস্থ্য কর্তারা দেখেন অভিযোগের সত্যতা রয়েছে৷ এরপরই বাঁকুড়ার সোনামুখীর বিজয়কৃষ্ণ নার্সিং হোম, গ্লোকাল হাসপাতাল ও ওন্দার আনন্দময়ী নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে স্বাস্থ্য দফতর৷ অবিলম্বে তাঁদের শোকজের জবাব দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন সোনামুখী বিজয়কৃষ্ণ নার্সিং হোমের ম্যানেজার কাঞ্চন পাল৷ তিনি বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের নার্সিং হোমে রোগী ভর্তি বন্ধ থাকছে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা ঠিক নয়৷’’ এবিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শোকজের জবাবও তাঁরা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন৷
অন্যদিকে গ্লোকাল হাসপাতালের আরএমও প্রীতম দেবনাথ বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশে আপাতত স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগী ভর্তি বন্ধ থাকলেও ‘ক্যাশ পেমেন্টে’ চিকিৎসা পরিষেবা চালু থাকবে। কি কারণে শোকজ করা হয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। তবে শোকজের জবাব দেওয়া হয়েছে৷’’ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলে আগামীদিনে অভিযুক্ত নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷