কলকাতা: করোনা চিকিৎসায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের ১ হাজার ৩৬৭টি শয্যা অধিগ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ আজ স্বাস্থ্য দফতরের এক নির্দেশিকায় ২৪টি বেসরকারি হাসপাতালে ১০৩৬৭টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ ওই সব বেসরকারি হাসপাতালের সুপারদের স্বাস্থ্য ভবন বা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সুপারিশ মতো রোগী ভর্তি করতে হবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য ৬০ শতাংশ শয্যা বাধ্যতামূলক ভাবে বরাদ্দ করতে হবে বলে রাজ্য সরকারকে সুপারিশ করেছে৷
একদিকে যখন দেশে এবং রাজ্যে লাগামছাড়া করানো ভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যু ঘটছে ঠিক সেই সময়ে আরও একটি সমস্যা উঠে আসছে প্রবলভাবে। সেটি হচ্ছে টিকাকরণের সমস্যা। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় টিকাকরণ নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে যেখানে টিকা পাওয়ার জন্য লক্ষাধিক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই প্রথম ভ্যাকসিন ডোজ পাওয়ার পরেও দ্বিতীয় ভ্যাকসিন ডোজ পাচ্ছেন না কেউ, এতে আরও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের টিকাকরণ সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা রাজ্য শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। সেকেন্ড ডোজ দিতে সাহায্য করা হবে বেসরকারি হাসপাতালকে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। এছাড়া ভ্যাকসিন উৎপাদন কারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই যাবতীয় ভ্যাকসিন রাজ্যে আনানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১ মে থেকে দেশজুড়ে চালু হবে ১৮ বছরের উর্ধ্বে করোনাভাইরাস টিকাকরণ। পশ্চিমবঙ্গে এই টিকাকরণ শুরু হবে আগামী ৫ মে থেকে। সেই প্রেক্ষিতেই তার আগে ভ্যাকসিন সমস্যা মেটাতে ব্যাপক তৎপরতা দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই এখন ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য যে ভিড় দেখা যাচ্ছে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে তাতে অবশ্যই আরো আতঙ্ক বাড়ছে রাজ্যবাসীর। কারণ সেখানে এতোটুকু মানা হচ্ছে না দূরত্ব বিধি।