আরও লম্বা লকডাউনের প্রস্তুতি, অসংগঠিত শ্রমিকদের বাঁচাতে উদ্যোগী রাজ্য

আরও লম্বা লকডাউনের প্রস্তুতি, অসংগঠিত শ্রমিকদের বাঁচাতে উদ্যোগী রাজ্য

43ac3ca790e1aa809f8f13578c0a6267

কলকাতা:  করোনা মহামারীর হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র।শনিবার এব্যপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে থেকেই সব রাজ্যই দীর্ঘ লকডাউনের প্রস্তুতি সেরে রাখছে। এরাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়।লকডাউনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে অসংগঠীত শিল্পক্ষেত্র।এই বন্দোবস্ত দীর্ঘায়িত হলেও তাদের কিচুটা সুরাহা দেওয়া যায় কিনা সেসম্পর্কে  বৃহস্পতিবার বিকেলে বণিকসভা ও শিল্পপতিদের নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চা বাগানের মত ক্ষেত্রকে আংশিক ভাবে হলেও চালু করতে, লক ডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্ষুদ্র শিল্পকে   করোনা মোকাবিলায় মাস্ক এবং পিপিই, স্যানিটাইজার তৈরির মত কাজে নিযুক্ত করার মত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা, বাড়িতে বসে কাজ বাড়ানো হোক। এছাড়া ন্যূনতম কর্মীদের নিয়ে, রোটেশন পদ্ধতিতে চালু হতে পারে কাজ। এই ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে স্যানিটাইজার তৈরির বরাত দিতে চান তিনি।এই একই পদ্ধতিতে চা বাগানের কাজও চালু করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ, দূরত্ব বজায় রেখে অন্তত ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে চা পাতা তোলার কাজ শুরু হোক। নাহলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তবে সেখানে স্যানিটাইজিং মাস্ট। তাঁর এই ঘোষণার পর রাইস মিল চালু করার আবেদন জানান চালকল মালিকরা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে পর্যাপ্ত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রয়েছে। তবে যা আছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় সঠিক কি না, তা নিয়ে সংশয় হওয়ায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দেন যে বেঙ্গল কেমিক্যালসের পরিকাঠামো ব্যবহার করে ওষুধ তৈরির উদ্যোগ নিতে।

অন্যদিকে মোট শ্রমিকের ৫০ শতাংশ কর্মী একসঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থায় কাজ করতে পারবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন। পাশাপাশি হোম ডেলিভারির কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদেরও ছাড় দেওয়া হবে । উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় সরকার ইতিপূর্বে রাজ্যের চা বাগান গুলি খোলার অনুমতি দিলেও বাগিচা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার তা খুলতে চায়নি।তারই পথ খুঁজতে বণিকসভা ও শিল্পপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিড় না করে জরুরি পরিষেবা চালু রাখার জন্য কর্পোরেট সংস্থাকে দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানালেন তিনি। সবধরনের হোম ডেলিভারিতে ছাড় দেওয়া এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনের জন্য ট্যাক্সি ব্যবহারের কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা বাগান খোলায় সায় দিলেন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *