করোনা কোপে লাটে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন, বিক্ষোভ বাম-কংগ্রেসের

করোনা কোপে লাটে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন, বিক্ষোভ বাম-কংগ্রেসের

কলকাতা: করোনার সংক্রমণ রুখতে আপাতত মূলতুবি রাখা হল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন।মঙ্গলবার জরুরি কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনার পর বুধবার থেকে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাবে। সোমবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে সর্বদলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন স্পিকার।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। সোমবার থেকই রাজ্যে মহামারী আইন লাগু করেছে রাজ্য সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, আদালত, সিনেমা হল। বেশিরভাগ সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে।  এদিন স্পিকার বলেন,মঙ্গলবারই শেষ অধিবেশন বসবে। ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই করোনার আতঙ্কে কেরল, ছত্তীশগড় ও মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার, করোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাম-কংগ্রেসের বিধায়করা৷

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকায় কী করণীয়, তা নিয়ে সোমবারই আলোচনায় বসেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যেপাধ্যায়। সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে চলে বৈঠক। বৈঠকেই ঠিক হয় আগামী বুধবার থেকে আপাতত ২৬ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে বিধানসভার অধিবেশন।

বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর বলেন, ‘সচেতন নাগরিকরাই বিধানসভায় আসেন। সচেতনতার বার্তা দিতে স্যানিটাইজার রেখে অধিবেশন চালানো যেত। রাস্তায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের কী হবে?’ বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘আতঙ্ক ছড়িয়ে লাভ নেই। বাসে-ট্রেনে ভাইরাস ছড়াবে না এই আশ্বাস কেউ দিতে পারবেন?’ মারণ করোনার সংক্রমণ রুখতে একজোটে পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এরই পাশাপাশি করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের জেরে বন্ধ রাখা হচ্ছে জাতীয় গ্রন্থাগারও। প্রতিদিন বহু মানুষ জাতীয় গ্রন্থাগারে আসেন। একসঙ্গে অনেক মানুষ একত্রিত হলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সতর্ক করার কাজ চলছে। সেদিকেই নজর দিয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 2 =