কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আর বাকি তিন দফার ভোট গ্রহণ। তার আগেই দুই জেলার পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। অপসারিত হলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারও। অপসারিত হলেন বোলপুরের এসডিপিও। ভোটের আগে ফের একগুচ্ছ রদবদল পুলিশ প্রশাসনে। অপসারিত পুলিশ আধিকারিকরা কোনোভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না নির্বাচনের সঙ্গে৷ ভোটের মুখে কমিশনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন৷
রাজ্য জুড়ে চলছে নির্বাচনী মহাযুদ্ধ। ইতিমধ্যেই পাঁচ দফায় নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। বাকি আর তিন দফার ভোট গ্রহণ। ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২২ মার্চ। তার আগেই দুই জেলার পুলিশ প্রশাসনে একগুচ্ছ বদল করল নির্বাচন কমিশন। সরিয়ে দেওয়া হল বীরভূমের পুলিশ সুপার মিরাজ খালিদকে। তার জায়গায় নতুন পুলিশ সুপার হয়ে এলেন নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এসপি পূর্ব বর্ধমান ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কেও। তার পরিবর্তে পূর্ব বর্ধমানের নতুন এসপি অজিত সিং। অপসারিত হয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন। নতুন কমিশনার হলেন মিতেশ জৈন। বোলপুরের এসডিপিও পদ থেকে অভিষেক রায়কে সরিয়ে তার জায়গায় আনা হলো এম. দেবরাকোন্ডাকে।
বীরভূমের পুলিশ সুপার হিসেবে মিরাজ খালিদকে সরিয়ে তার জায়গায় নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে আনা হয়েছে। এই আইপিএস অফিসারকেই নন্দীগ্রামের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পাঠানো হয়েছিল। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে পুলিশ আধিকারিকদের অপসারিত করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির একাধিক অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই বদল। অপসারিত আধিকারিকেরা বাকি তিন দফার নির্বাচনে কোনোভাবেই আর যুক্ত থাকতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে এবং মডেল(মোদী) কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হওয়ার ৪৫ দিন পর কমিশন ৪ অফিসারকে বদল করল৷ নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, যাঁকে নন্দীগ্রামের ইনচার্জ বানানো হয়েছিল, তাঁকে এখন বীরভূমে পাঠিয়ে দেওয়া হল৷ রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছিল কি? নিশ্চয়ই নয়।’’ ট্যুইটে নির্বাচন কমিশনকে ‘চূড়ান্ত আপোষকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ডেরেক৷