কলকাতা: হাসপাতালে মদের আসর বসানোর অভিযোগে শাসকদলের বিধায়ক পুত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ এসডিপিও-র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় বিধায়ক পুত্র সহ ৬জনকে৷ কিন্তু গ্রেফতারির পরই জামিন পেয়ে যান অভিযুক্তেরা৷ ডায়মন্ডহারবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুলিশের অন্দরেও৷ একান্ত আলাপচারিতায় তাঁরা বলছেন, শাসকদলের বিধায়ক বলে কথা, কোপে পড়বেন না তো সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে মদের আসর বসানোর ঘটনা নতুন নয়৷ বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায়শই এখানে মদের আসর বসে৷ কিন্তু যেহেতু আসরে থাকেন প্রভাবশালীদের নিকটাত্মীয়রা তাই হাসপাতাল সুপার থেকে রক্ষী, কেউ কিছু বলার সাহস দেখান না৷ অভিযোগ, লক্ষ্মীবারের রাতেই বসেছিল মদ্যপানের আসর৷ হাজির ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক পান্নালাল হালদারের ছেলে সৌম্য হালদার৷ রীতিমতো গভীর রাত পর্যন্ত হইহুল্লোর চলছিল বলে অভিযোগ৷
স্থানীয় সূ্ত্রের খবর, সেই ‘খবর’ পেয়ে গভীর রাতে হাসপাতালে হানা দেন ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও৷ তিনি বিধায়ক পুত্র সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন৷ বিধায়কপুত্রের গ্রেফতারির খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে৷ এরপরই তড়িঘড়ি জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় বিধায়কপুত্রকে৷ ‘প্রভাবশালী’ বলেই কি থানা থেকে জামিন? প্রতিক্রিয়া মেলেনি পুলিশের পদস্থ কোনও কর্তার৷ তবে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক পান্নালাল হালদার জানিয়েছেন, আইন আইনের পথেই চলবে৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে পুলিশের অন্দরে৷ কারণ, যেভাবে গ্রেফতারির পরেই বিধায়ক পুত্রের জামিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার কোপে পড়েন কি না, তা নিয়েই পুলিশের অন্দরে শুরু হয়েছে আলোচনা৷