খুলছে স্কুল, শেষ হবে প্রতীক্ষার প্রহর, বাজবে ছুটির ঘণ্টা

খুলছে স্কুল, শেষ হবে প্রতীক্ষার প্রহর, বাজবে ছুটির ঘণ্টা

বারাসত: শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা, মঙ্গলবার থেকে ফের খুলবে স্কুল, বাজবে ছুটির ঘন্টা। আবার স্কুল ব্যাগ-টিফিন টাইম- বন্ধুদের সাথে আড্ডা-ক্লাসরুম-শিক্ষকের হাতে চক ডাষ্টার-ব্লাকবোর্ডে চকের টান আর সব শেষে ছুটির ঘণ্টা৷

ঘড়ির কাঁটা যেন বলছে এই তো আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পরে আবার খুলতে চলেছে স্কুলগুলি শুরু হবে নতুন করে পঠন- পাঠান। নতুন রঙে সেজে উঠেছে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ থেকে স্কুলের বারান্দা। স্কুল খোলার প্রাক্কালে এমনই ছবি ধরা পড়েছে গোবরডাঙ্গা খাটুরা বয়েজ  হাই স্কুলে।

স্কুলে গিয়ে দেখা গেল নতুন করে সেজে উঠেছে স্কুল প্রাঙ্গণ। ছোট ছোট সবুজ গাছ আর স্কুল বারান্দায় বিভিন্ন মনীষীদের বাণী, দীর্ঘ ছুটির পরে ছাত্রদের আকর্ষণ করবে বলে জানিয়েছে স্কুলের সহ প্রধানশিক্ষক বিশ্বনাথ রায়। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা যারা শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীরা রয়েছি সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি স্কুলের সম্পদ পড়ুয়ারা আবার স্কুলে ফিরবে, স্কুলের অঙ্গিনাকে প্রাণবন্ত করে তুলবে।’’

স্কুল যাওয়া নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে পড়ুয়ারারাও. খাটুরা বয়েজ হাই স্কুলের ছাত্র রণজিৎ ঘোষ, অলক আচার্যদের কথায়, ‘‘স্কুল খুলছে বলব না৷ বরং বলব নতুন করে স্কুল খুলছে অর্থাৎ নতুন শিক্ষা জীবন শুরু হচ্ছে। কারণ, সবটাই তো অভ্যাসের ব্যাপার৷ দীর্ঘ লক ডাউনে স্কুলে যাওয়ার অভ্যস্ততায় তো আমরা হারিয়ে ফেলেছি৷  সব কিছু আবার নতুন করে অভ্যাস করতে হবে৷ অনেকদিন পর স্কুল ঘরের বেঞ্চে বসা, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা- এসব ভাবলেই কেমন যেন উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 8 =

খুলছে স্কুল, পঠন-পঠনের উপযোগী করে তুলতে চলছে স্প্রে

খুলছে স্কুল, পঠন-পঠনের উপযোগী করে তুলতে চলছে স্প্রে

অশোকনগর: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রায় দু’বছর পরে খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ৷ এই ঘোষণার পরেই পঠন পঠনের উপযোগী করে তুলতে স্কুলে স্কুলে চলছে স্যানিটেশনের কাজ। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলতে চলেছে স্কুল কলেজ। ইতিমধ্যেই পঠন-পাঠনের উপযোগী করে তুলতে জোর প্রস্তুতি চলছে রাজ্যের সর্বত্র স্কুল কলেজগুলিতে। বুধবার অশোকনগর বিদ্যাসাগর বানীভবন হাই স্কুলে সেরকমই এক ছবি ধরা পড়েছে৷

সেখানে দেখা যাচ্ছে স্কুলের একদম প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে একটি স্যানিটাইজেশন স্প্রে গেট৷ শ্রেণি কক্ষে বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা হয়েছে৷ দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হয়েছে মনীষীদের নানা উক্তি এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ ঘোষের তত্ত্বাবধানে স্যানিটাইজেশন স্প্রে করা হচ্ছে ক্লাসে ক্লাসে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী স্কুল খুলছে৷ ফলে শিক্ষক হিসেবে আমরা ভীষণ খুশি৷ আবার দেখা হবে ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে৷ স্কুলে তৈরি হবে পঠন পাঠানোর পরিবেশ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘সমস্ত কোভিড বিধি মেনেই ছাত্র- ছাত্রীদের পাঠ দান করা হবে এবং যে সকল ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে মাস্ক বা স্যানিটাইজার নিয়ে আসবেন না তাদের স্কুল থেকেই মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হবে।’’ পস্কুল কর্তৃপক্ষের এহেন ভূমিকায় খুশী স্কুল পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা৷ স্কুল খোলার খবরে পড়ুয়ারা যেমন খুশী, তেমনই উদ্বিগ অভিভাবকেরা৷ তাঁরা বলছেন, ‘‘স্কুলের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়৷ তবু করোনা আবহ যেহেতু রয়েছে এবং সংক্রমণের তীব্রতা বাড়ছে৷ তাই কিছুটা হলেও আশঙ্কা থাকছে৷ তবু স্কুল খুলুক৷ এটা আমরা সকলেই চায়৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 3 =