রেস্তরাঁয় নিষিদ্ধ মাংস বিক্রি? এবার শুরু অভিযান

কলকাতা: খাদ্য এবং বন্যপ্রাণের একটা নিবিড় সম্পর্ক অনেকদিনই রয়েছে। বহু বন্যপ্রাণীকে মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে মারা হয়। বনদপ্তরের নজরদারিতে সেই শিকারিরা ধরা পড়ে। কিন্তু, যে সেই শিকার হওয়া বন্যপ্রাণীর দেহাংশ কিনছে বা খাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সেভাবে কোনও পদক্ষেপ হয় না। অথচ আইনে বলা আছে বন্যপ্রাণী শিকার করা, কেনা-বেচা, খাওয়া সবই সমানভাবে অপরাধযোগ্য। কিন্তু, শিকারিদের বিরুদ্ধে

রেস্তরাঁয় নিষিদ্ধ মাংস বিক্রি? এবার শুরু অভিযান

কলকাতা: খাদ্য এবং বন্যপ্রাণের একটা নিবিড় সম্পর্ক অনেকদিনই রয়েছে। বহু বন্যপ্রাণীকে মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে মারা হয়। বনদপ্তরের নজরদারিতে সেই শিকারিরা ধরা পড়ে। কিন্তু, যে সেই শিকার হওয়া বন্যপ্রাণীর দেহাংশ কিনছে বা খাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সেভাবে কোনও পদক্ষেপ হয় না। অথচ আইনে বলা আছে বন্যপ্রাণী শিকার করা, কেনা-বেচা, খাওয়া সবই সমানভাবে অপরাধযোগ্য।

কিন্তু, শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া গেলেও, বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থা মোকাবিলায় এবার একেবারে নতুন রকমের সচেতনতা প্রচারের উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় বন্যপ্রাণ অপরাধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা(ডব্লুসিসিবি)।

কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, সর্বত্রই চোরাশিকারি বা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, বাজারে সেই সমস্ত বন্যপ্রাণ খাওয়ার চাহিদা রয়েছে বলেই তো শিকারি বা পাচারকারীরা সেগুলি মারছে, বিক্রি করছে। মানুষের মধ্যে এধরনের পশুর খাওয়ার চাহিদা কমাতে পারলে, তবেই এই বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করা সম্ভব হবে। তাই নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসঙ্গত, কলকাতার খাদ্য রসিক বাঙালিদের একটি দল রয়েছে। সূত্রের খবর, যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ১.৭ লক্ষ। তাঁদের সচেতন করতেই এই অভিনব প্রচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ডব্লুসিসিবি’র পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *