কলকাতা: চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হওয়ার দু’দিন আগেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে শর্তসাপেক্ষে ধর্ম-কর্মের ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দরজা খুলে দেওয়া হবে৷ ১০ জনের বেশি মানুষ ধর্মীয় স্থানে ঢুকতে পারবেন না৷ সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি ও সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ ও হুগলির ঐতিহ্যবাহী মাহেশের রথযাত্রা কমিটি৷
শুক্রবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে চতুর্থ দফার লকডাউন পর্ব শেষ হওয়ার আগেই বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়ে দিয়েছিলেন সমস্ত ধর্মের প্রতিষ্ঠান খুলে যাবে৷ তবে স্বাস্থ্যবিধি মাথায় রেখে ১০ জনের বেশি ধর্মীয় স্থানে ঢুকতে পারবেন না৷ মন্দিরে জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷ করা যাবে না জমায়েত৷ ভক্তদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর গতরাতেই বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখনই বেলুড় মঠের দরজা খোলা হবে না৷ তবে দু’ঘণ্টার জন্য আরতি দূর থেকে দেখতে পারবেন ভক্তরা৷ আরতি দেখার জন্য বিশাল স্ক্রিনের ব্যবস্থাও করেছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ৷
অন্যদিকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে হুগলির মাহেশের রথযাত্রা কমিটি৷ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মাহেশে এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে রথযাত্রা করা হবে না৷ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা এবছর করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ এবছর ৬২৪ তম বছরে পদার্পণ করার কথা হুগলির মাহেশের রথযাত্রা উৎসব৷ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা হিসেবে এটি পরিচিত এই রথযাত্রা উৎসব৷ কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতিতে রথযাত্রা স্থগিত রাখার ঘোষণা করা হয়েছে৷
আজ এই বিষয়ে প্রশাসন ও ট্রাস্টের কর্তারা বৈঠক বসেন৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আপাতত এবছর রথযাত্রা করা হলেও নিয়মাচার অনুযায়ী ঘরোয়াভাবে মাহেশের রথযাত্রা পালিত হবে৷ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিশাল আকারে রথযাত্রার করা না হলেও এবছর জগন্নাথ দেব, বলরাম, সুভদ্রাকে রথে তোলা হবে না৷ নারায়ণ শিলাকে মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে৷ স্নানযাত্রা করানো হবে মন্দিরেই৷ আগামী ৫ জুন স্নানযাত্রা হবে মন্দিরের বারান্দায়৷ নিয়ম-আচার মেনে অনুষ্ঠান করা হলেও কোনভাবেই আরম্ভর হবে না৷