কলকাতা: পুজোর আগেই পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে আজ সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পুজোর আগেই তৎপর বিদ্যুৎ দপ্তর৷ সেই কারণে আজ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনে 24X7 ( টোয়েন্টিফোর ইনটু সেভেন) কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।, বিদ্যুৎ ভবন এর কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকবেন বিদ্যুৎ দপ্তরের এসিএস, সিএমডি পিডিসিএল ,সিএমডি ডব্লিউবিএসইডিসিএল। শুধু বিদ্যুৎ ভবনে নয় রাজ্যের সমস্ত জেলার হেড কোয়ার্টার্সে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে। জেলার কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকছেন রিজিওনাল ম্যানেজার এবং সাবস্টেশন গুলিতে দায়িত্বে থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ও ওভারঅল দায়িত্বে থাকবেন জোনাল ম্যানেজাররা।
বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আরও জানান, পুজোর কানেকশনের জন্য আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত ডব্লিউবিএসইডিসিএল এর এলাকায় ৩৭হাজার ৯৫০টি আবেদনপত্র এসেছে ও সিইএসসি এলাকায় আবেদনপত্র এসেছে ৪ হাজার ৬৫৮টি৷ যেটা গত বছর ছিল ডব্লিউবিএসইডিসিএল এলাকায় ৩৬হাজার ৩৬টি ও সিইএসসি এলাকায় ৪হাজার ৬০০টি৷ যতগুলি আবেদনপত্র এসেছিল, সবগুলি কানেকশন করে দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও খোলা হয়েছে দুটি কন্ট্রোল রুম৷
ডব্লিউবিএসইডিসিএল এর কন্ট্রোল রুমের নম্বর হল 8900793503 ও 8900793504৷ সিইএসসির কন্ট্রোল রুমের নম্বর হল 9831079666 ও 9831083700৷ পুজোর সময় যে বৃষ্টির আশঙ্কা আছে তার জন্য রাজ্যের সমস্ত জায়গায় জেনারেটর, পাওয়ার পয়েন্ট সবকিছু মজুত করে রাখা হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এবছর আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ লোড আছে ডব্লিউবিএসইডিসিএল এলাকায় ৩৭৫.৪ মেগাওয়াট ও পিএসসি এলাকায় ৪০মেগাওয়াট৷ মোট ৪১৫.৪ মেগাওয়াট৷
গত বছরের তুলনায় লোড এবছর সামান্য বেড়েছে, গত বৃষ্টিতে আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর নেতৃত্বে একটি কমিটি আছে৷ সেই কমিটির রিপোর্ট পেয়েছি তাতে বিদ্যুৎ দপ্তরে কোন গাফিলতি নয়৷ এটা আভ্যন্তরীণ গাফিলতি, কয়লা সংকটের বিষয়ে পিডিসিএল এর সিএমডি পি বি সেলিম জানান, পুজোর ক’দিন কোনওরকম কোনও সঙ্কট হবে না৷ এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ দপ্তরের পাঁচটা কয়লা উত্তোলনকারী ব্লক কাজ করছে৷ পুজোর সময় কয়লা লাগে প্রায় ১৮রেক (১রেক= ৩হাজার ৫০০মেট্রিক টন) ও পুজো বাদ দিয়ে অন্যান্য সময় ১২রেক কয়লা উত্তোলন করা হয়৷ ইতিমধ্যেই প্রায় কয়েক লক্ষ মেট্রিক টন কয়লা মজুত করে রাখা রয়েছে৷ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আরও জানান যে কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় আমাদের রাজ্যকে মানুষের কাছে একটু অন্য চোখে দেখাবার চেষ্টা করে৷ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সারা দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাঁওতালডিহি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রথম স্থান অধিকার করেছে ও বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দশম স্থান অধিকার করেছে।