কলকাতা: বাংলাজুড়ে চলছে দখলদারির রাজনীতি৷ আর এই রাজনীতির হোতা তৃণমূলই৷ মঙ্গলবার চিড়িয়াখানা দখল প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই যে দখলদারির রাজনীতি চলছে পশ্চিমবাংলায় এটা টিএমসিই এনেছে। সিপিআইএম এর সবকিছু জোর করে দখল করে পুরসভা থেকে জেলা পরিষদ থেকে আরম্ভ করে ইউনিয়ন দখল করে চলছিল। কলেজ ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন সমস্তকিছু। এখন বাকি বিরোধীরা নাই। বিজেপির সাথে যুক্ত হয়ে কিছু লোক ট্রেড ইউনিয়ন চালাতেন সেটা বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। সেটা লুঠ করার চেষ্টা চলছিল৷ তাতেই এই গোলমাল৷’’
একই সঙ্গে রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদার কে শোকজ করা প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সব দলের একটা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি আছে। তারা জানতে চেয়েছে এদের এই আচরণের কারণ কি। এর উত্তর সঠিক ফোরামে এরা দেবেন। তারা পার্টির সঙ্গে কথা বলবেন, পার্টি শুনবেন। পার্টি ডিসিশন নেবে। এরা পুরানো কর্মী অনেক বছর ধরে পার্টির জন্য কাজ করছেন। নীতিগত ভাবেই কাজ করেছেন। আজকে বিশেষ পরিস্থিতির জন্য কোথাও সঙ্গতি মনে হচ্ছে। সেটা আমি প্রথম থেকেই বলছি পার্টির মধ্যে যে ব্যবস্থা আছে সেটা কথা বলেই সমাধান করা উচিত। সেটা পার্টির স্বার্থে ঠিক হবে।’’
বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে ক্ষোভ, বিক্ষোভ৷ তারই জেরে একাধিক বিধায়ক, সাংসদ ইতিমধ্যে দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন৷ বেসুরো সেই বিধায়ক এবং নেতাদের নিয়ে সোমবার রাতেও ঠাকুরবাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন বিদ্রোহী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর৷ যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দিলীপ৷