কলকাতা: বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বাড়ছে আদি-নব্য বিজেপি কর্মীদের বিবাদ এবং ক্ষোভ। অন্য দল থেকে এসে ঢুকলেই মিলছে পদ, অথচ দলের পুরানো কর্মীদের পাতে সেই আমের আঁটি, এমনটাই দেখা যাচ্ছে পদ্ম শিবিরে। এসবের মাঝে স্থানীয় পদ থেকে পুরানো কর্মীদের সরিয়ে নবাগতদের বসিয়ে দেওয়ায় বাংলার একাধিক জায়গায় দেখা গেছে বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষ। তবে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া দাওয়াই নিয়ে এল রাজ্য বিজেপি।
সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি জেলার সভাপতিদের একটি একটি বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন যে, এবার থেকে বিজেপির নিম্ন স্তরের কোনো পদে পরিবর্তন ঘটানোর জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর অনুমোদন লাগবে। এই বার্তায় আরো জানানো হয়েছে যে, এই দুই শীর্ষ কর্তার অনুমোদন ছাড়া দলের জেলা কমিটি, মণ্ডল সভাপতি, মণ্ডল কমিটি, বিধানসভার আহ্বায়ক, সহ-আহ্বায়ক, বুথ সভাপতি স্তরে কোনও সাংগঠনিক রদবদল করা যাবে না।
কিন্তু নির্বাচনের মুখেই এমন নতুন নিয়ম কেন পদ্ম শিবিরের? এর উত্তর খুঁজতে গেলে রাজ্য বিজেপির অন্দরে ঢুকে চিত্রটা দেখতে হবে। সম্প্রতি আকৃতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্য বিজেপির সংগঠন, যা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তৃণমূল, কংগ্রেস ও বাম দল থেকে ব্যাপক মাত্রায় কর্মীরা আসছেন পদ্ম শিবিরে। আর বিজেপি নবাগতদের স্বাগত জানাতে তাদের উপহারস্বরূপ দিচ্ছেন বিভিন্ন স্তরের পদ। এই কারণে বিজেপির আদি কর্মীদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে দিনান্তে। রাজ্য বিজেপির অনেক পুরনো কর্মী ভিনদল থেকে আসা নেতাদের নির্দেশনায় কাজ করতে অস্বীকার করেছেন বিভিন্ন জেলায়, যেটা নির্বাচনী প্রচারে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পদ্ম শিবিরের চৌকাঠে। আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই বিজেপির এই নয়া পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
তবে রাজ্য বিজেপির এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে, বিজেপির অন্দরে কোনো সংঘাত নেই। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে, শীর্ষ স্তরের অনুমতি ছাড়া এমনিতেই জেলা স্তরে রদবদল হয়না। তবে এই ঘোষণার বিষয়ে এখনো তিনি অবগত নন বলেই জানিয়েছেন শমিক ভট্টাচার্য।