নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিকে করিডর করে ভায়া বাংলাদেশ হয়ে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে দিতে পারে দেশের অর্থনীতি। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে হিলি বাংলাদেশ মেঘালয়ের মধ্যে করিডর স্থাপনের লক্ষ্যে হিলি বাংলাদেশ মেঘালয় করিডর কমিটি আন্দোলন করে চলেছে। ইতিমধ্যেই ভারত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্তরে হিলি- বাংলাদেশ- মেঘালয় করিডর সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। যার ফলে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। এই করিডর আন্দোলনকে আরো গতিশীল করে তুলতে বালুরঘাট শহরের বালুরঘাট পৌরসভার সুবর্ণতট সভাগৃহে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় মঙ্গলবার।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে মেঘালয় পৌঁছতে এখন সময় লাগে দুদিন। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে মেঘালয়ে তুরা পর্যন্ত করিডর চালু হলে সেই দূরত্ব কমে হবে মাত্র ৮৬ কিমি। লাগবে মাত্র দুই থেকে থেকে তিন ঘণ্টা। এছাড়াও এখন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে সড়কপথে কয়লা ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ আনতে সময় লাগে ২৪ ঘন্টারও বেশি। একই সময় লাগে এ রাজ্য থেকে মাছ ও কাঁচামাল গুয়াহাটি হয়ে ঘুরপথে মেঘালয় সহ উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিতে পাঠানোর ক্ষেত্রেও। কিন্তু এই করিডর তৈরি হলে সেই সমস্যা মিটে যাবে৷
মঙ্গলবারের এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা করিডর আন্দোলনের আহ্বায়ক নব কুমার দাস, বঙ্গরত্ন অমূল্য রতন বিশ্বাস, বিশিষ্ট সাংবাদিক শংকর দাস, সমাজসেবী কৌশিক দাস, নাট্যব্যক্তিত্ব জিষ্ণু নিয়োগী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। আগামী দিনে এই আন্দোলনে গতি প্রকৃতি ঠিক করতে আলোচনা সারেন তারা একইসঙ্গে আগামী দিনে এই আন্দোলনকে পথে এগোবে সেই সম্পর্কে রূপরেখা তৈরি করেন তারা। এই করিডর তৈরি হলে আর্থিক দৈনতা লাঘব হবে স্থানীয় মানুষের৷ এমনটাই মনে করেন এই করিডর কমিটি৷