কলকাতা: বিরোধীদের দাবি নস্যাৎ হল রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের রিপোর্টে। লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৩০ শতাংশেরও কম সংখ্যক বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিয়েছে তারা। গত শনিবার উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে যে বৈঠক করেন, সেখানে এই হিসেব দেওয়া হয়েছে।
কমিশন অবশ্য জেলা পুলিশ-প্রশাসনের রিপোর্ট এখনই গ্রহণ করেনি। উপ নির্বাচন কমিশনার শনিবারের বৈঠকে স্পর্শকাতর বুথের বিষয়টি আরও ভালোভাবে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা প্রায় ৭৯ হজার। এই বুথগুলির মধ্যে কতগুলি স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হবে, তা নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, রাজ্যের সব বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। একই দাবি করেছে কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেস এই দাবির সম্পূর্ণ বিরোধিতা তো করেছেই। পাশাপাশি তৃণমূল অভিযোগ করেছে, রাজ্যের সব বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে রাজ্যবাসীকে অপমান করা হচ্ছে। দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা কতটাই না খারাপ। যদিও বাস্তব চিত্র একদমই আলাদা। রাজ্যের প্রতি এই অপমানের প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আন্দোলনও শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মহিলা সংগঠন দু’দিন অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি নেয়। তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীরা উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে স্মারকলিপি দিয়েছেন।