এনআইয়ের নজরে তৃণমূলের ছত্রধর! খুন, অপহরণ, রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলার প্রস্তুতি

এনআইয়ের নজরে তৃণমূলের ছত্রধর! খুন, অপহরণ, রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলার প্রস্তুতি

e5fd0c8fb64860c8503fbf929f6e9109

 

কলকাতা: মাস পাঁচ হয়েছে৷ সদ্য জেল থেকে বেরিয়ে ঘাসফুলের রাজ্য কমিটির আঙিনায় পৌঁছানোর সুযোগ পেয়েছেন৷ রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে গুরুত্ব৷ তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে নাম লেখানো মাত্রাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিশানায় ছত্রধর মাহাতো৷ ১১ বছর আগের ২টি মামলার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্র৷ প্রায় এক দশকের বেশি সময় জেল বন্দি থাকার পর হঠাৎ কেন এনআইয়ের তৎপরতা? নেপথ্য উদ্দেশ্য কী অন্য? বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলতেই কি এই ব্যবস্থা? প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল শিবির৷

জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তৃণমূলের নয়া রাজ্য কমিটিতে সম্পাদক পদে অভিষেক হয়েছে ছত্রধরের৷ কিন্তু, সেই অভিষেকপর্বের পর এনআইএ তৎপরতা ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল৷ গোটা বিষয়টি আইনের পথে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর৷

এই মুহূর্তে ছত্রধরের নামে রয়েছে খুন ও রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে চালককে চালক ও সহকারী চালককে অপহরণ মামলা৷ ২০০৯ সালে লালগড় থানার সিপিএম কর্মী খুনের মামলায় চার্জশিটে নাম ছিল ছত্রধরের৷ গত ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে মামলার তদন্ত নেয় এনআইএ৷ নতুন করে মামলার তদন্ত শুরু করতে চেয়ে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে নথিপত্র জমা পড়েছে বলে খবর৷ অন্যদিকে, বাঁশতলা স্টেশনের কাছে রাজধানী এক্সপ্রেস থামিয়ে, সেখান থেকে চালক ও সহকারী চালককে অপহরণ মামলায় জড়য়েছিল ছত্রধরের নাম৷ ছত্রধরের মুক্তি দাবি জানিয়েছে ওই অপহরণ করা হয়৷ ২০১০ সালের রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অভিযোগে শুরু হয় তদন্ত৷ শেষ এপ্রিলে লকডাউন পর্বের মধ্যে ওই মামলাটি এনআইএ দায়িত্ব দিয়েছে৷ দু’টি পৃথক অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজের আদালতে মামলা দু’টি বিচারাধীন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *