আলিপুর: যাদবপুর ও টালিগঞ্জ বিধানসভা দু’টি কেন্দ্রের যে যে অংশে দুর্বলতা রয়েছে, সেই জায়গাগুলিতে মিমি চক্রবর্তীকে দিয়ে বেশি করে প্রচারের পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার রাজপুর টাউনের যে ৮টি ওয়ার্ডে মিমির প্রচার হয়নি, সেখানে ভোটারদের নিয়েও সভা করবেন মিমি। সব মিলিয়ে ফাইনাল প্রচারের সময় কোথাও ফাঁক রাখতে চাইছে না তৃণমূল। সেই অনুসারে ইতিমধ্যে কর্মসূচিও ঠিক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুরে দলের অন্তর্কলহের জন্য সিপিএমের কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছিল তৃণমূলকে। তারপরও সেই কোন্দলকে সামাল দিতে পারা যায়নি। দলের কেউ বসে গিয়েছেন। কেউ কেউ বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। এছাড়াও একটা গা ছাড়া ভাবও রয়েছে দলের কর্মীদের মধ্যে। টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জয় পেলেও বিরোধী প্রার্থী সিপিএমের চেয়ে ব্যবধান আহামরি উল্লেখযোগ্য ছিল না। স্বাভাবিকভাবে তাই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন কলকাতা পুর অংশের এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের বেশি করে কাছে টানার জন্য শুরু থেকেই সক্রিয় হয় তৃণমূল।
ভোট প্রচারের প্রথম পর্যায়ে এই দু’টি কেন্দ্রে মিমি দু’ বেলা ঘুরে গিয়েছেন। একাধিক জায়গাতে কর্মিসভা করেছেন। আলাদাভাবে ভোটারদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারপরও এবার শেষ পর্যায়ে ফের মিমিকে দিয়ে সিপিএমের ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙতে যাদবপুর ও টালিগঞ্জে লাগাতার প্রচার করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন ৫ মে রবিবার সকালে যাদবপুরের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পাটুলিতে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে রোড শো করেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। সন্ধ্যার সময় প্রচারে যান মিমি। দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা লাগাতার এই প্রচার চলবে ১৭ মে পর্যন্ত।