কলকাতা: নতুন আর্থিক বছর শুরু হওয়ার আগেই টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির লাগাম টানতে এবং ই টেন্ডার প্রক্রিয়াকে আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার।একাধিকবার এই নিয়ে নবান্নের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হলেও ই-টেন্ডার ব্যবস্থার প্রচলন করতে বহু দপ্তর গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই ই টেন্ডার বাধ্যতামূলক করতে এবং নিয়ম মেনে বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে টেন্ডার সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়টি কঠোরভাবে চালু করতে নির্দেশিকা জারি করেছেন অর্থ সচি ব এইচ কে দ্বিবেদী।
ওই নির্দেশিকা য় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ই-টেন্ডার সংক্রান্ত সক্ষিপ্ত বিবরণ উপযুক্তভাবে বিজ্ঞাপিত হচ্ছে না। এই ব্যবস্থা রুখতে এখন থেকে প্রত্যেকটি দপ্তরকে ই-টেন্ডার নিয়ে পৃথক পরিকাঠামো গড়ার কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত ই-টেন্ডার সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করার অন্তত তিনদিন আগে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। প্রত্যেকটি দপ্তরকে এর জন্য পৃথক ই-মেল আইডি খুলতে হবে। যেখানে প্রস্তাবিত বিবরণ বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা যাবে কি না, তার অনুমোদন কিংবা বাতিলের জবাব দেওয়া হবে। বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত খরচ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেই বহন করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজনীয় হেড অব অ্যাকাউন্ট খোলার কথাও বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত যে প্রকল্পের জন্য ই-টেন্ডার করা হচ্ছে, তা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ থাকা আবশ্যক। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই বাজেট বরাদ্দের বাইরে গিয়ে অনেক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যার জন্য অর্থ জোগানে বেজায় সমস্যায় পড়ছে অর্থদপ্তর। নয়া নিয়ম চালু হলে এই সমস্যা মিটবে বলে আশাবাদী কর্তাদের একাংশ। টেন্ডার ডাকার সময় প্রস্তাবিত প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওয়েবসাইট সহ একাধিক জায়গায় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নবান্নের এক আমলা বলেন, আগে বলা হতো বরাত পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু, ই-টেন্ডারের ক্ষেত্রে সেই সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছিল। অথচ, সেখানেও একাধিক ফাঁকফোঁকর ধরা পড়ে গিয়েছে। নয়া নির্দেশিকার মাধ্যমে সেই নড়বড়ে জায়গা পোক্ত করতে চাইছে রাজ্য সরকার।