অবরোধে অনড় বাসিন্দারা, অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু নাবালকের

অবরোধে অনড় বাসিন্দারা, অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু নাবালকের

নদীয়া: পুজোর ভাসানের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তা অবরোধ৷ তারই জেরে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে আটকে থেকে মৃত্যু হল এক বালকের৷ মঙ্গলবার রাতে এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল নদীয়ার কৃষ্ণনগর৷

সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায় তার জন্য এবছর কৃষ্ণনগর জগদ্ধাত্রী পুজোয় ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের করা ও সাংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে  নদীয়া জেলা প্রশাসন। আর প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ও ঘট বিসর্জন শোভাযাত্রা ও সাং করতে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার রাত থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পি ডাবলু মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পুজো উদ্যোক্তারা।

আভিযোগ, সেই অবরোধে বিভিন্ন যান  বাহনের সাথে আটকে পড়ে মালদা থেকে কলকাতাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স। মালদার একটি পরিবার তাঁদের ১২ বছরের সন্তান সাকিবুল শেখকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথে কৃষ্ণনগরে চলা পথ অবরোধের জেরে আটকে পড়ে তাদের অ্যাম্বুলেন্স৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আন্দোলনকারীদের বারংবার বলার পরেও তাঁরা অ্যাম্বুলেন্সটিকে ছাড়েননি৷ ফলে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বছর বারোর সাকিবুল৷

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ ও কৃষ্ণনগরের পুজো উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিয়ে  প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি শুধু মাত্র ঐতিহ্যের নামে ঘট ভাসানের উন্মাদনার কাছে মানুষের প্রানের কোনও দাম নেই? অনেকেই তুলতে শুরু করেছেন এই প্রশ্ন৷ সূত্রের খবর, মর্মান্তিক এই ঘটনার পর রাতেই পুলিশ বেশ কয়েকজন পূজা উদ্যোক্তাকে গ্রেফতার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *