বাঁকুড়া: তিনি এলেন৷ এলাকা পরিদর্শন করলেন৷ দেখলেন বন্যার জলও৷ অথচ কথা বললেন না গ্রামবাসীদের সঙ্গে৷ স্বভাবতই মন্ত্রীর সফর ঘিরে ক্ষুব্ধ বানভাসীরা৷
সোমবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাঁকুড়া শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহম্মদ নগরে পৌঁছান রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ কিন্তু কথা বললেন না সাধারণ মানুষের সঙ্গে। মন্ত্রী এলাকা ছাড়ার পরই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে ওই এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, স্থানীয় নেতৃত্ব যেভাবে মন্ত্রীকে ঘিরে ধরেছিলেন যে, তারা তাঁর কাছে যাওয়া তো দূর, কথা বলার সুযোগই পাননি। আর এতেই হতাশ এলাকাবাসী।
তাঁদের দাবি, স্থানীয় নেতৃত্ব যেভাবে মন্ত্রীকে ঘিরে ধরেছিলেন যে তারা তাঁর কাছে যাওয়া তো দূরস্ত কথা বলার সুযোগই পাননি। যদিও মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বয়ান, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাঁকুড়া জেলা পরিদর্শনে এসেছিলাম। ফিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দেব৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দুর্গত মানুষদের পাশে রাজ্য সরকার রয়েছে।’’ একই সঙ্গে ডিভিসিকেও একহাত নেন বর্ষীয়ান এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যকে না জানিয়েই ডিভিসি জল ছাড়ছে। ফলে প্রস্তুতি নেওয়ার কোন সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না৷’’
যদিও বানভাসীদের সঙ্গে কথা না বলা নিয়ে এদিন কোনও মন্তব্যই করতে চাননি মন্ত্রী মশাই৷ প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক নিম্নচাপ জনিত বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন অংশের সঙ্গে বাঁকুড়া শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এরমধ্যেই আবার না জানিয়ে জল ছেড়েছে ডিভিসি। দারিদ্রতা থাকলেও মাথা গোজার ঠাঁইটুকু ছিল। কিন্তু জল ছাড়ার ফলে, নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বহু এলাকায়। ডুবেছে ঘরবাড়ি। শেষ সম্বলটুকু হারিছেন বহু মানুষ। অসহায় পরিবারগুলির আশ্রয়স্থল এখন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে। কেউ কেউ রয়েছেন ত্রিপল টাঙিয়ে। অবস্থা এতটাই সঙ্গীহীন যে গৃহপালিত পশুদের সঙ্গে নিয়েই থাকতে হচ্ছে তাঁদের৷ স্বভাবতই মন্ত্রী এলেও দেখা না করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাসিন্দারা৷