দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগর শহরের বুকের উপর বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টিতে দলের এক শাখা সংগঠনের ব্লক সভাপতিসহ তিনজনের মৃত্যু হল। যদিও এই ঘটনার সময় বিধায়ক ওই গাড়িতে ছিলেন না। তাই তিনি ভাগ্যক্রমে এ যাত্রা বেঁচে গিয়েছেন। এদিন গঞ্জের মোড় এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পের সামনে দুষ্কৃতীরা প্রথমে বোমাবাজি করে। তারপর বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ-এর ব্লক সভাপতি সইফুদ্দিন খান (২৪), গাড়ির চালক সেলিম খান (২৫) ওরফে বাবু ও তাঁর সঙ্গীর মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার ভরসন্ধ্যায় ভিড়ে ঠাসা গঞ্জের মোড় এলাকায় এই শ্যুটআউটে তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়েছে৷ ভরসন্ধেয় জয়নগরে তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি লক্ষ করে শুটআউটে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করল সিআইডি৷ সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে গ্রেফতার ৪৷ এলাকায় চাপা উত্তেজনা৷
বিধায়ক বিশ্বনাথবাবু নিজেই বলেছেন, ‘আমিই টার্গেট ছিলাম। অল্পের জন্য বাঁচলাম।’ যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টিকে এখনই গোষ্ঠীকোন্দল বলে মানতে নারাজ। জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী রাতে বলেন, ‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা দুষ্কৃতীদের কাজ।’ সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি ও এসইউসি সহ বিরোধী দলগুলি অবশ্য একে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরিণতি বলে দাবি করেছে।