কলকাতা: বিজেপির জেলা এবং রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে মতুয়া সম্প্রদায় নেতৃত্বকে জায়গা দিতে হবে৷ মঙ্গলবার রাতের রুদ্ধদ্বার আলোচনায় সিদ্ধান্ত মতুয়া নেতৃত্বের৷ প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে মঙ্গলবার রাতে বিদ্রোহী সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি সমর্থিত মতুয়া সম্প্রদায়ের নির্বাচিত বিধায়কেরা৷ সেখানে নিজেদের একগুচ্ছ দাবি নিয়ে মতুয়া সংঘাতিপতি শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত বিধায়কেরা।
মতুয়া সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা। উপস্থিত ছিলেন নদীয়ার হরিণঘাটা বিধায়ক অসীম সরকার এবং রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। মূলত বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করে বিজেপি। সিএএ ইস্যুতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুর সহ মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের বিরোধ ছিলই৷ এরপর এই মতবাদের সঙ্গে বিজেপির অলিখিত মতানৈক্য শুরু হয়।
মতুয়া সম্প্রদায় সূত্রে খবর, মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতৃত্বকে রাজ্য কমিটিতে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় যেখানে মুদ্রা এলাকায় বিজেপি একাধিক বিধায়ক গঠন করেছে তার পিছনে মূল প্রাধান্য অনগ্রসর শ্রেণির ভোট। কিন্তু মোটেও তার জন্য বিজেপির কোন আলাদাভাবে উচ্চবাচ্য না থাকার কারণে বিভিন্ন সময় মত আর সাধারন ভোটারদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে নেতৃত্বকে। সেই কারণেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে দিন বনগাঁ সাংগঠনিক এলাকায় এবং রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক নেতাদের নিয়ে বৈঠক করা হয়।
সেখানে রাজ্য কমিটিতে সহ সভাপতির পদ সহ নদীয়া জেলা সভাপতি এবং নবদ্বীপ জোটের নেতৃত্ব তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত মতুয়া সংঘ তিপতি শান্তনু ঠাকুর বিজেপি নেতৃত্বকে জানাবে বলে এদিন সিদ্ধান্ত হয়। তবে আগামী দিনে মতুয়াদের দাবি না মানলে তারা কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে পরবর্তীতে তা আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই চড়ছে জল্পনার পারদ৷ ইতিমধ্যেই বিজেপির সমস্ত হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন শান্তনু৷ তবে কি তাঁর নেতৃত্বে একাংশ গেরুয়া বিধায়ক ঘাসফুলে নাম লেখাবেন? চড়ছে জল্পনার পারদ৷