কলকাতা: লোকসভা ভোটের পারদ চড়ছে। বাড়ছে তরজা। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই সেসব উপভোগ করছেন তারিয়ে তারিয়ে। তবু এরই মধ্যে তাদের অসন্তুষ্টিরও অন্ত নেই।
হরেক দাবিদাওয়া এবং না-পাওয়া যেমন আছে, তেমনই আছে দিনগুজরানের ঝক্কিও। যাঁরা রোজ সকালে ব্যাগ হাতে বাজার যাচ্ছেন, তাঁরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন, কী কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। ১০ টাকার আশপাশে থাকা আলু বাদ দিলে, আরও কোনও আনাজেই হাত দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। মাছ-মাংস তো দূরের কথা, শাকপাতা সেদ্ধ করে খাওয়া এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জের।
চন্দ্রমুখীর দর এখনও ১৮ থেকে ২০ টাকা। ফুলকপির দর ২৫ থেকে ৩০ টাকা। বাঁধাকপি চেহারায় জৌলুস খোওয়ালেও দর কেজি প্রতি ২০ টাকার আশপাশে৷ সিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বিট-গাজর বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে৷ বাজারে পালং শাকের দর ৩০ টাকার আশপাশেই। বেগুনও ৩০ টাকার আশপাশে।
বাজারে এখন মাছের বেশ আকাল। কাটা পোনা ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার নীচে নেই। চারা মাছও ১৬০ টাকার আশপাশে। সবাইকে টেক্কা দিয়েছে মুরগির মাংস। তার দর ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা। বেড়েছে ডিমের দামও। ১১ টাকা জোড়ার নীচে পোলট্রির ডিম নেই প্রায় কোনও বাজারেই। ভোটের পারদ চড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারদরের আঁচ কি পড়বে? এখন মধ্যবিত্তের কাছে এটাই বড় চিন্তা।