চড়ছে বাজার, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

কলকাতা: বড়দিন ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে উৎসবের সময়ে ২০০ টাকা ছুঁয়েছিল মুরগির মাংসের দাম। তাতে দোসর হয়েছিল পোলট্রির ডিমও। মুরগির দাম খানিকটা বাগে এসেছে। কিন্তু ডিমের চড়া দর কিছুতেই নামছে না। এখন বাজার ভেদে পোলট্রির ডিমের দর কমবেশি ছ’টাকা। ডিমের কারবারিরা অবশ্য বলছেন, এই দাম তো স্বাভাবিক। এ আর এমন কী বেশি! আমজনতা বলছে, ভরা

চড়ছে বাজার, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

কলকাতা: বড়দিন ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে উৎসবের সময়ে ২০০ টাকা ছুঁয়েছিল মুরগির মাংসের দাম। তাতে দোসর হয়েছিল পোলট্রির ডিমও। মুরগির দাম খানিকটা বাগে এসেছে। কিন্তু ডিমের চড়া দর কিছুতেই নামছে না। এখন বাজার ভেদে পোলট্রির ডিমের দর কমবেশি ছ’টাকা। ডিমের কারবারিরা অবশ্য বলছেন, এই দাম তো স্বাভাবিক। এ আর এমন কী বেশি! আমজনতা বলছে, ভরা শীতেও অতি চড়া আনাজপাতি। দামের ঝাঁজে হাত দেওয়া যায় না মাছে। এমন অবস্থায় আমিষ পাতের মান বাঁচাতে ডিম জোটানোও কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। দাম যে আশু কমবে, এমন নিশ্চয়তাও নেই।

মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে। কিন্তু ডিমের দাম মাসখানেকের উপর ছ’টাকা। তা নিয়ে মনঃকষ্টের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। তাঁদের বক্তব্য, ভরা শীতে প্রতিবারই দাম খানিকটা কম থাকে আনাজপাতির। কিন্তু এবার অবস্থা বেশ শোচনীয়। কারণ, এখন বাজারে ১৫ টাকার নীচে যেমন ফুলকপি নেই, তেমনই ৩০ থেকে ৪০ টাকার নীচে নেই কোনও আনাজ। বেগুন, শিম, টম্যাটো, মটরশুঁটি, মুলো থেকে শুরু করে বিট, গাজর বা পালং শাক— এত দাম দিয়ে শীতের আনাজ শেষ কবে কিনেছেন সাধারণ মানুষ, তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। এই অবস্থায় যেখানে চড়া দামে কিছুটা মলমের প্রলেপ দিতে পারত ডিম, সেই সুযোগও গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 6 =