কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছে দেশজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। এমনই পূর্বাভাস দিল মার্কিন উপদেষ্টা সংস্থা বিসিজি ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং জনসংখ্যা বিবেচনা করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে৷ যেখানে আশঙ্কা করা হয়েছে, জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ সবথেকে বেশি হবে৷ তাই লকডাউনের সময় বৃদ্ধি সহ একগুচ্ছ আবেদন নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হল শিক্ষক সংগঠন। শনিবার অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোশিয়েসনের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে।
চিঠিতে আবেদন জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে যেখানে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে সমস্ত ছাত্রছাত্রী সহ শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত সকলের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল, কলেজ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা করুক শিক্ষা দপ্তর৷ চিঠি প্রসঙ্গে সংগঠনের সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে৷ সেক্ষেত্রে গোটা রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো অনুযায়ী সুবিধাজনক অনলাইন পঠন পাঠন ব্যবস্থা করতে হবে৷’’ এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর পূর্বঘোষিত কর্মসূচী স্থগিত রাখার ঘোষণা পুর্নবিবেচনার অনুরোধ করেছে ওই শিক্ষক সংগঠন৷ প্রয়োজনে সংগঠন ক্লাস বিষয়ে সর্বতোভাবে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে৷
গতকাল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, নবম-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হবে দূরদর্শনের মাধ্যমে। কিন্তু এক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকদের দাবি মেনে সময়ের সামঞ্জস্য রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ৭-১৩ এপ্রিল দূরদর্শনের সল্ট নেওয়ার যে পরিকল্পনা ছিল তা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে বলেই শনিবার জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। চন্দন বাবু আরও বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আপাত স্থগিত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষক সংগঠন গুলির সাথে পরামর্শ করে অতিশীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে৷
এছাড়াও সংগঠনের দাবি, লকডাউনের ফলে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া মানুষদের বাড়ি ফেরানো ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। সকল শ্রেণির মানুষের কাছে খাদ্য, চিকিৎসা সহ অত্যাবশ্যক দ্রব্য পৌঁছানো সুনিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি লকডাউন কার্যকর করতে ১৪৪ ধারা জারি করতেহবে এবং প্রশাসনকে কাজের ক্ষেত্রে আরও মানবিক হতে হবে।