রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চাল পেলেন স্থানীয়রা

রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চাল পেলেন স্থানীয়রা

হুগলী: করোনা পরিস্থিতি রুখতে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। কাজের সুযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারি রেশনের ভরসায় রয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু এনএফএসএ তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে রেশন কার্ড নেই বহু মানুষের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই রেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। হুগলী জেলার পোলবা দাদপুরে এমনই দৃশ্য দেখা গেল। তবে সারা বাংলা আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের সহযোগিতায় রেশন ডিলারের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে অবশেষে নিজেদের অধিকার ফিরে পেলেন অসহায় মানুষ।

সোমবার সকাল থেকেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন হুগলীর পোলবা দাদপুর ব্লকের সেঁইয়া ও রামনগর গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা। রেশন ডিলারের সামনেই চলছিল এই বিক্ষোভ। পরে সাব-ডিভিশনাল ফুড ইনস্পেক্টর এবং ব্লক ফুড ইনস্পেক্টরের সক্রিয়তায় সুরাহা মেলে বলেই সংবাদ সূত্রে জানা গেছে। সারা বাংলা আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের সদস্য সজল দে বলেন, আজ আবার নতুন করে পোলবা দাদপুর গ্রামের দু'টি জায়গায় রেশন ডিলারের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন গ্রামের মানুষরা। একজন ডিলার হলেন শ্রীকান্ত নিয়োগী (বালিটানা ও সেঁইয়া) এবং অন্যজন হলেন সুশীলকুমার মান্না (রামনগর)। দীর্ঘক্ষণ অবস্থান চলার পর মহকুমার খাদ্য পরিদর্শক ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এবং পোলবাদাদপুর ব্লকের খাদ্য পরিদর্শক, উভয়ের হস্তক্ষেপে আজকেই সেঁইয়াতে ২৬ জনকে রেশন দেওয়া হয়েছে। তাঁদের রেশন কার্ডেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অন্যদিকে রামনগরের ৭ জন বাসিন্দার রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই রেশন পেয়েছেন।' তবে তাঁর কথায়, এখনও বহু মানুষ আছেন, যাঁদের নাম যাঁদের নাম তালিকায় রয়েছে। কিন্তু তাঁদের কাছে কার্ড নেই বলে রেশন পাচ্ছেন না। এই ধরনের সমস্যাগুলিও মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফুড ইনস্পেক্টররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 15 =