‘বাইরে থেকে লোক আসা কমলেই অপরাধ কমবে,’ খোঁচা ব্রাত্যের

‘বাইরে থেকে লোক আসা কমলেই অপরাধ কমবে,’ খোঁচা ব্রাত্যের

কলকাতা:  সাংবাদিক সম্মেলন করে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু৷ তথ্য পরিসংখ্যান তুলে দেখালেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের থেকে কলকাতায় অপরাধ কতটা কম৷  

আরও পড়ুন- দুই সরকারের তফাৎ কোথায়? নিজের আর মমতার ছবি দেখিয়ে বোঝালেন দিলীপ

এদিন কেন্দ্রকে এক হাত নিয়ে ব্রাত্য বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বারবার কেন্দ্র প্রশ্ন তুলেছে৷ কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে কাজ করেছে তাতে আমাদের রাজ্যে মৃত্যুর হার প্রায় শূন্য৷ সুস্থতার হার প্রায় ১০০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে৷ আর কেন্দ্রীয় সরকার নেতাদের জন্য চার্টার্ড বিমান দিয়েছে৷ কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটা ট্রেনও দেয়নি৷ পরিযায়ীদের নিয়ে অদ্ভূত নীতি নিয়েছে কেন্দ্র৷ 

তিনি জানান, শিশু মৃত্যুর হার মধ্যপ্রদেশে ৪৮ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ৪৩ শতাংশ, গুজরাতে ২৪ শতাংশ৷ সেখানে বাংলায় ২২ শতাংশ৷ রাজ্য ভিত্তিতে মাতৃ মৃত্যুর হার গোটা ভারতে যেখানে ১১৩ মধ্যপ্রদেশে সেখানে ১৭৩৷ উত্তর প্রদেশে ১৯৭৷ কিন্তু বাংলায় মাত্র ৯৮৷ ব্রাত্যের খোঁচা,  উত্তর প্রদেশ তো ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার৷ কিন্তু চলে মার্টিন রেলের মতো ঢিমেতালে৷ এখানে এসে যাঁরা ডবল ইঞ্জিনের কথা বলছেন তাঁরা আগে এর জবাব দিক৷ 

তিনি জানান, হাসপাতালের বেডের দিক থেকেও সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলা৷ সমস্ত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা৷ ২০১৯ এ মহিলাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে৷ কিন্তু প্রাচীনতম নগরী কলকাতায় প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা মাত্র ১৫২৷ যা দিল্লি বা বিজেপি শাসিত রাজ্যের থেকে অনেক কম৷ 

তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘বাইরে থেকে লোক আসা কমলে মহিলাদের উপর অত্যাচার আরও কমবে৷ আমরা সজাগ আছি৷ পুলিশও সজাগ আছে৷’’ ব্রাত্য জানান, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের উত্তর প্রদেশে ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ কিন্তু বাংলায় ২১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷ তিনি জানান, তফশিলি জাতি, নমশুদ্র অর্থাৎ মতুয়া জাতির উপর উত্তরপ্রদেশে অত্যাচারের হার ২৫ শতাংশ৷ বিহারে ১৪.২ শতাংশ৷ কিন্তু বাংলায় তা শূন্য৷ 

নাম না করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একহাত নিয়ে ব্রাত্য বলেন, ‘‘বাংলায় এসে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে৷ বলা হল, করোনার টিকাকরণ সম্পন্ন হলে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে৷ এর বদলে বলতে পারতেন ক্যান্সার, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গু পৃথিবী থেকে চলে যাবে তখন নাগরিকত্ব দেব৷’’ 

আরও পড়ুন-  মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব? ‘ঠিকমতো’ স্কুটি চালিয়ে দেখিয়ে দিলেন স্মৃতি ইরানি

তাঁর কথায়, উত্তর প্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্যে সত্য কথা বলার জন্য সাংবাদিকদের খুন করা হয়৷ এখানে সামান্য কণ্ঠ রোধ করলেই গেল গেল রব ওঠে৷ এবং এটাই সংগত৷ আমাদের রাজ্য অনেক বেশি সহিষ্ণু৷ কিন্তু উত্তর প্রদেশ বা গুজরাতে মুখ খুললে খুন হতে হবে৷ 

ব্রাত্য বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারে লোক পিটিয়ে মারা হয়৷ সেখানেই সেটাই ন্যায্য৷ বালিয়ায় ব্রাহ্মণ দের জন্য এক রকম এবং নমশুদ্রদের জন্য আলাদা থালা বাসন রাখা হয়৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *