কলকাতা: দাঁড়িভিট হাইস্কুল কাণ্ডে অবিলম্বে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশ হাইকোর্টের৷ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ৷ স্কুল খুলতে স্থানীয় বিডিওকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ জারি হাইকোর্টের৷ স্কুলে সমস্ত পোস্টার ও বিক্ষোভ সামাল দিতে জেলা প্রশাসনকে কড়া হওয়ার বার্তা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরফ৷ স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে আজ এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ তবে, দাঁড়িভিট কাণ্ডে গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর মামলা এখনও চলছে বলে আদালত সূত্রে খবর৷ মামলা চললেও এলাকায় পঠন-পাঠন ব্যবস্থা সচল রাখতেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে দাঁড়িভিট হাইস্কুলে গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে বা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে৷ এখনও পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ ওই তদন্ত করছে। কাদের গুলিতে ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা খুঁজে বার করতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় মৃতদের পরিবার। গত ৫ অক্টোবর, ইসলামপুর কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের বাবা। ইসলামপুরের ঘটনায় ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানালেন নীলকমল সরকার ও বাদল বর্মণ। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন সন্তানহারা দুই বাবা। তাঁরা মনে করছেন, সিবিআই ছাড়া ওই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না। দাঁড়িভিটে দুই ছাত্রের গুলিতে প্রাণহানির ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে বিজেপির তরফেও হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করা হয়৷ বিজেপিরও বক্তব্য, রাজ্য পুলিশ বা রাজ্যের কোনও সংস্থা তদন্ত করলে দাঁড়িভিটের ঘটনায় সত্য উদ্ঘাটন হবে না।