কলকাতা: গর্ভবতীকে পেটে সজোরে লাথি মারা হল, অথচ কোনও মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হল না। এটা কি আদালত কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়! এই প্রশ্নের জেরেই কোর্টে হাজির করা মাত্র অভিযুক্ত যুবককে জামিন দিলেন বিচারক।
সম্প্রতি শিয়ালদহের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস এক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দিতে গিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন। ভরা এজলাসে বিচারকের বক্তব্য, মামলার নথিপত্র দেখে পুরো বিষয়টিই সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
সরকারি আইনজীবীর কাছে বিচারকের প্রশ্ন, যেখানে এমন একটি জামিন অযোগ্য গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেখানে ঘটনার পর কেন সেই মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হল না? শুধু তাই নয়, পুলিস এই মামলায় কেন আদালতের কাছে কোনও ‘গোপন জবানবন্দি’র আবেদন জানালো না, তাও আশ্চর্যের। বিচারক এই কড়া অবস্থান নেওয়ায় কোর্টের কাছে আর কোনও মন্তব্য করেননি সরকারি আইনজীবী ও মামলার তদন্তকারী অফিসার (আইও)।
সম্প্রতি উল্টোডাঙা মহিলা থানায় এক গর্ভবতী নাবালিকা এক কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ছাড়াও পকসোর বিশেষ ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের হওয়ার পরেই অভিযুক্ত কিশোর ‘ফেরার’ হয়ে যায়। পুলিস নানা জায়গায় খুঁজলেও তার কোনও হদিশ পায় না। ফলে মামলার নথিপত্র কোর্টে এসেই পড়ে থাকে।
এদিকে, গর্ভবতী নাবালিকার পরিবার কয়েকদিন আগে ফের থানায় এসে অভিযোগ করে, অভিযুক্তের দাদা তাদের বাড়িতে এসে মামলা তোলার জন্য হুমকি দেয়। মেয়ের শ্লীলতাহানির পাশাপাশি তার পেটে সজোরে লাথি মারে। এর ফলে তার ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যায়। এই অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিস হুমকি, শ্লীলতাহানি এবং ভ্রুণ নষ্ট করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। সঙ্গে সঙ্গে পকসো আইনে মামলাও রুজু হয়।