নদীয়া: সংসার সুখী হয় রমণীর গুনে৷ সত্যি তাই৷ যিনি রাঁধেন, তিনি শুধু চুলই বাঁধেন না, চাইলে দু’পয়সা রোজগারও করতে পারেন৷ ফেলে দেওয়া থার্মোকলের সোলা দিয়ে লক্ষ্মী ঠাকুর পুজোর উপকরণ তৈরি করছে নদীয়ার রানাঘাটের গৃহবধূ টকি মালাকার। তিনি বলেন এতে প্রকৃতি যেমন পরিষ্কার হচ্ছে তেমন পুজোর কাজে লেগে যাচ্ছে।
জানা যায় টিভি ফ্রিজের পেটির থার্মোকল বা সোলা ফেলে দেওয়ার পরে সে গুলোকে কুড়িয়ে বা সংগ্রহ করে পরিষ্কার করে তা দিয়ে তৈরি হচ্ছে লক্ষ্মী ঠাকুরের পুজোর নানান উপকরণ৷ যেমন, কদম ফুল, চাঁদ মালা, ঝাড়বাতি সহ আরো অনেক কিছু। তাতে একদিকে যেমন পরিবেশের আবর্জনা কমছে পাশাপাশি উপকরণের দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হাত থেকে খানিকটা রেহাই পাওয়া যাচ্ছে। তাতে খানিকটা সস্তায় মিলছে এসব জিনিস।
একদিকে যে রকম পরিবেশ পরিষ্কার হচ্ছে পাশাপাশি সেই বস্তুই শোভা বাড়াচ্ছে আপামর বাঙালির লক্ষ্মী পুজোর আসনে। গতবার কোভিডের কারণে ভাটা পড়েছিল ব্যবসায়। এবছর লক্ষ্মী লাভের আশায় ফুল তৈরি করতে ব্যস্ত প্রস্তুতকারী ব্যবসাদাররা। তিনি বলেন, এই কাজ এই প্রথম নয় বংশ-পরম্পরা ধরে বহু বছর ধরে চলে আসছে তাদের পুজোর উপকরণ তৈরি করার কাজ। আগামী দিনেও প্রকৃতি যাতে পরিষ্কার থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন৷ এবং ব্যবসাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আগামীদিনেও তিনি উপকরণকে আরও আকর্ষণয়ী করে তুলবেন বলে জানান৷