খেজুরি: স্বাধীনতা দিবসের ভোরে বৌমাকে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে ধর্ষিতা হলেন শাশুড়ি৷ অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধেই তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে৷ খেজুরি বিধানসভার মুরলিচক এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোরের আলো ফুটতে ক্রমেই রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থক ও মহিলা মোর্চার নেত্রী সমর্থকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ৷ খেজুরির পাশাপাশি জেলার অন্যান্য থানা থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার ভোররাতে খেজুরি বিধানসভা মুরলিচক গ্রামে ওই বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হানা দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা৷ বাড়িতে থাকা গৃহবধূকে উলঙ্গ করে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। বৌমাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন সত্তরোর্ধা বৃদ্ধা। অভিযোগ, এরপর বৃদ্ধার চুল মুঠি ধরে তাঁকে বৌমার সামনেই ধর্ষণ করা হয়৷ যিছকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা৷
সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই দোষীদের গ্রেফতারে দাবিতে রাস্তায় নামেন এলাকার বিজেপি সমর্থকরা ও মহিলা মোর্চার নেতা নেত্রীরা। ঘটনাস্থলে আসেন কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকরা। খেজুরি বিজেপি নেতা তাপস দোলাই বলেন, “ওই পরিবারের অপরাধ তাঁরা বিজেপি করেন৷ তাই তৃণমূল নারকীয় অত্যাচার চালাল৷’’ অবিলম্বে পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার না করলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷ তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর মামুদ হোসেন অবশ্য বলেন, “রাজনীতির রঙ না দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক৷ পুলিশ নিশ্চয় সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে৷’’ হাওড়ার বাগনানের প্রসঙ্গ মনে করিয়ে বিজেপি নেতৃত্বরা অবশ্য বলছেন, তৃণমূলের জমানায় প্রকৃত দোষি কি শাস্তি পাই?