নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: শ্বশুরবাড়ির অধিকারের দাবিতে ধরনায় বসলেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার তানজিলা খাতুন ও তাঁর বাবা মহম্মদ আলি মল্লিক। বিয়ে করার পরেও স্ত্রীকে স্বীকৃতি হিতে নারাজ আলফাজ রহমান। যদিও ঘটনার পর থেকেই নিজে পলাতক আলফাজ রহমান।
মাস পাঁচেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার গৌরিভোজ গ্রামের বাসিন্দা তানজিলা খাতুনের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় নুরপুর পঞ্চায়েতের বেনাপুরের বাসিন্দা আলফাজ রহমানের। বিয়ের পর নাকি শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন আলফাজ। দিনকয়েক আগে নিজের বাড়িতে যান তিনি। যদিও পরে তানজিলা খাতুনকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেন তিনি। ঘটনা জানাজানি হতেই সোমবার বেনাপুর গ্রামে আলফাজের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন তানজিলা খাতুন, সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা মহম্মদ আলি মল্লিকও। তানজিলা খাতুন বলেন, “আমায় বিয়ে করে বাপের বাড়িতেই মাসখানের থেকেছে, সংসার করেছে। পরে নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। এখন বলছে আমায় মেনে নেবে না”। তানজিলা বাবা মহম্মদ মল্লিক বলেন, “আমার মেয়েকে বিয়ে করে ওখানে আসা যাওয়া করত, থাকত। তারপর হঠাৎ করেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে মামা শ্বশুরের কথায় এখানে এসে এমন অবস্থা”। আলফাজ রহমান স্ত্রীর পর্যাদা না দেওয়া পর্যন্ত ধরনা চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তানজিলা খাতুন ও তাঁর বাবা মহম্মদ আলি মল্লিক।
এদিকে, গ্রামের এই ঘটনায় চারিদিকে হুলস্থুল পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে যান নুরপুরের উপপ্রধান আবদুল রউফ। তানজিলা খাতুন ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা ছেলের বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে তালা ঝোলানো। আমরা মেয়েটিকে বলেছি, মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের তরফে মীমাংসা করে দেওয়া হবে”। তবে এভাবে বিয়ে করে পরে মেনে না নেওয়ার বিষয়টি অন্যায় কাজ বলে মন্তব্য করেন উপপ্রধান আবদুল রউফ। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে নিখোঁজ খোদ আলফাজ। পঞ্চায়েতের মীমাংসাই এখন ভরসা তানজিলা খাতুন ও তাঁর পরিবারের।