কলকাতা: টিভির পর্দায় বিভিন্ন চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখার জন্য টেলিকম অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ট্রাইয়ের নির্দেশিকা উপর দেওয়া অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও আজ, সেই নির্দেশ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে আদাত সূত্রে খবর৷ আজ, আগের নির্দেশ ফিরিয়ে নেন বিচারপতি অরিন্দম সিনহার বেঞ্চে৷ ফলে, ট্রাইয়ের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা মেনে ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টার পর থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকরী হচ্ছে৷
এদিন বিচারপতি অরিন্দম সিনহা পরিষ্কার জানান, নিয়ম মেনেই পে-চ্যানেলের জন্য বাড়তি টাকা দর্শকদের দিতে হবে। কেবল অপারেটরদের ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তির সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে এই নিয়ে কোন দ্বিমত থাকলে, তাঁদের আদালতে আসার রাস্তা খোলা রয়েছে বলেও জানানো হয়৷
গত সপ্তাহে মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পয়লা ফ্রেব্রুয়ারি থেকে পে চ্যানেলের জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না গ্রাহকদের৷ ১৮ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর হবে না ট্রাইয়ের নির্দেশ৷ রাজ্যের ৮০টি কেবল অথরিটির রুজু করা মামলার ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷
এই নির্দেশের পর তড়িঘড়ি আদলতে যায় ট্রাই৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে হলফনামাও জমা দেওয়া হয়৷ কেবল চ্যানেল নিয়ে তাদের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে ওই রায় প্রত্যাহারের আবেদন করে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি বা ট্রাই৷ট্রাইয়ের হয়ে এদিন ওই এজলাসে আবেদন করেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল কৌশিক চন্দ্র৷ অভিযোগ, গত শুনানিতে ট্রাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও ওই দিন ট্রাইয়ের কোনও আইনজীবী হাজির ছিলেন না৷ ফলে তাঁদের বক্তব্য না শুনেই রায় দেওয়া হয়৷ পরে, ট্রাইকে আদালতের নির্দেশ, লোকাল কেবল অপারেটর বা এলসিও এবং মাল্টি সার্ভিস অপারেটরদের এমএসওদের মধ্যে মুনাফা ভাগ নিয়ে আদৌ বোঝাপড়া সম্ভব কিনা সে ব্যাপারে সন্তুষ্ট কতে হবে আদালতকে৷ ট্রাইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বক্তব্য, এলসিও এবং এমএসও-রা নিজেদের মধ্যে মুনাফা আলোচনার মধ্যে ভাগের অঙ্ক ঠিক করতে পারে৷ যদি সেক্ষেত্রে সমস্যা হয় তাহলে ৫৫ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ হারে মুনাফা ভাগ করা যেতে পারে৷