কলকাতা: ফের কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য প্রশাসন৷ নিহত প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের মৃত্যু মামলায় রাজ্য প্রশাসনের তরফে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেয় পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট৷ আজ, মামলার শুনানিতে পঞ্চায়েত ভোটের সময় নিহত প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের নিখোঁজ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার পর্যন্ত শেষ ১১ ঘণ্টার হিসেব চাইল আদালত৷ অবিলম্বে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
শুক্রবার এই মামলা প্রসঙ্গে শিক্ষক শিক্ষা কর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “এই ঘটনার প্রথম থেকেই আমরা সিবিআই তদন্ত চেয়ে এসেছি৷ কিন্তু রাজ্য সরকার সেই দাবি আজও মানেনি। অথচ বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কর্তব্যরত অবস্থায় প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করার সময় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন রহতপুর হাই মাদ্রাসার তরুণ শিক্ষক রাজকুমার রায়৷ পরে তাঁর ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ পাওয়া যায় রেল লাইনের উপরে। আমরা চাই অবিলম্বে এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হোক এবং প্রকৃত সত্য জনগণের কাছে নিয়ে আসা হোক। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জোরালোভাবে দাবি রেখেছি, আগামী যেকোনো নির্বাচনে ভোট কর্মীদের যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করলে আমরা ভোট গ্রহণের দায়িত্ব বয়কট করব। এ্যাডিশনাল সিইও আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে। আমরা মনে করি কোন দল ক্ষমতায় আসবে কি আসবে না সেটা আমাদের বিচার্য বিষয় নয়। কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যেকের ভোট দানের অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মানুষ যাতে নির্ভয়ে তাঁরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এবং ভোট কর্মীরা যাতে নির্ভয় সংবিধান স্বীকৃত দায়িত্ব পালন করতে পারেন তার জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা এবং দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আমরা এখনো জোরালোভাবে সি বি আই তদন্তের দাবি করছি এছাড়া সত্য উদঘাটন হবে বলে আমরা মনে করি না। আমরা এখনো জোরালোভাবে সিবিআই তদন্তের দাবি করছি৷ এছাড়া সত্য উদঘাটন হবে বলে আমরা মনে করি না।’’