কলকাতা: করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা থেকে শুরু করে মৃতের বিষয়েও সঠিক তথ্য দিচ্ছে না রাজ্য সরকার, এমনই অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবারও সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন বিরোধীদের। এদিকে ওই অভিযোগে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য হাইকোর্টে মামলাও করেন। তবে রাজ্যের দেওয়া তথ্যে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত, এমনটাই জানা গেছে সংবাদসূত্রে।
বাংলার সরকার করোনা আক্রান্তে মৃতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করছে না। পরিকাঠামোর অভাব ও তথ্য গোপন করার অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টে মামলাও করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সরকারের দেওয়া করোনা সংক্রান্ত তথ্যে গরমিলের মামলাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠলে বৃহস্পতিবার যে রিপোর্ট রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে, তা আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ হতে হবে বলেই জানিয়েছে আদালত। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা মেনেই করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ করার পরামর্শও দিয়েছে হাইকোর্ট। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেই জানানো হয়েছে।
রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে তথ্যগোপনের অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবির থেকেও। সাধারণ মানুষের মনেও তৈরি হয়েছে এই প্রশ্ন। যদিও বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে ওই ধরনের অভিযোগ যাঁরা করছেন, তাঁদের একহাত নিয়ে তিনি ওই দিন বলেন, 'আক্রান্তের সংখ্যা এখন বাড়ছে। আগে ছিল পরিবারভিত্তিক। এখন বাইরের লোকভিত্তিক হয়েছে। তাঁরা যত লোকের সঙ্গে মিশেছেন, সেভাবেই একটা এলাকা থেকে আর একটা এলাকায় ছড়াচ্ছে। সেটা তো নিয়ন্ত্রণ করা আমাদেরই দায়িত্ব। নাকি এত লোক মারা গেছে বাংলায়, এরকম মিথ্যে কথা প্রচার করে কি রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করছে? যাঁরা এগুলো করছেন, বাংলায় মানুষ মারা গেলে তাঁরা খুশি হবেন বুঝি?' পাশাপাশি এই সময়ে রাজনীতি না করে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।