বাঁকুড়া: আদালতের নির্দেশে অবশেষে নিজের বাড়িতে ফিরলেন অসহায় বৃদ্ধা৷ ছেলের ‘অত্যাচারে’ দীর্ঘদিন ‘বাড়ি ছাড়া’ ছিলেন বৃদ্ধা শেফালী দত্ত৷ সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের উপস্থিতিতে ওই বৃদ্ধা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পালিত বাগানের বাড়িতে ফেরেন।
‘ঘরছাড়া’ বৃদ্ধা শেফালী দত্তের অভিযোগ, মূলতঃ পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ছোট ছেলে প্রবীর দত্ত ও বৌমা শম্পা দত্তের অত্যাচারে তিনি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। ছোটো ছেলের হাতে মার খেয়ে তিনি তাঁর মেয়ে সুজাতা নাগের বাড়িতে গিয়ে থাকতে বাধ্য হন। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি বাড়িতে ফিরলেন বলে জানান।
আইনজীবী সৌগত মিত্র ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, চলতি বছরের গত ১৯ এপ্রিল ওই বৃদ্ধার ছোটো ছেলে বৌমা মারধর করে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই অবস্থায় তিনি মেজো মেয়ে সুজাতা নাগের আসানসোলের বাড়িতে আশ্রয় নেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালেও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট পিটিশান ফাইল করা হয়। গত ২৪ নভেম্বর সেই মামলার শুনানি শেষে বিচারক পুলিশি নিরাপত্তা সহকারে বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ দেন। আর সেই মোতাবেক এদিন বৃদ্ধা শেফালী দত্ত বাড়িতে ফিরে এলেন৷ অভিযুক্ত ছোট ছেলে প্রবীর দত্ত ও বৌমা শম্পা দত্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাণরা কখনওই বৃদ্ধা মাকে মারধোর বা বাড়ি থেকে তাড়াননি বলে দাবি করেন। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য৷ একই সঙ্গে পুলিশের তরফে অভিযুক্তদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যে পুনরায় কোনওভাবে যেন বৃদ্ধার ওপর কোনও ধরণের অত্যাচার না হয়৷