কলকাতা: শনিবার সকালে আচমকায় দমদম বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তবে এবারে তাঁর দিল্লি সফরের বিষয়ে রাজভবনের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি৷ টুইট করে সফরসূচির কথা জানাননি রাজ্যপালও৷ স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা চড়েছে৷ কারণ, রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সফর এবং তারপরেই রাজ্যপালের দিল্লির সফর কেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জল্পনা হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ কারণ, জগদীপ ধনকড় তাঁর আমলে প্রায় প্রতিটি সফরই আগাম ঘোষণা করে থাকেন সংবাদমাধ্যমকে৷ বহু ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে যে মধ্যরাতে টুইটও করেও তিনি জানিয়েছেন তাঁর সফরসূচি৷ স্বাভাবিকভাবেই, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্যপালের দিল্লি সফর এবং ‘গোপনীয়তা’কে কেন্দ্র করে সামনে আসছে জল্পনা৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এর পিছনে দুটি কারণ সামনে আনছেন৷ প্রথমটি হল বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসকের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অবিযোগ সামনে এনেছে গেরুয়া শিবির৷ ইতিমধ্যেই পিএসি-র চেয়ারম্যান পদ থেকে মুকুল রায়ের নাম খারিজের দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিধায়কদের৷
অন্যদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা সম্পর্কে সম্প্রতি আদালতে জমা দেওয়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট৷ যাতে স্পষ্টভাবে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা , মন্ত্রীর নাম রাখা হয়েছে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ তালিকায়৷ বাংলায় আইনের শাসন নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের বিরোধ নতুন নয়৷ স্বাভাবিকভাবেই, রাজ্যপালের ‘গোপনীয়’ সফর ঘিরে বাড়ছে জল্পনা৷