কলকাতা: কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিএএ -র সমর্থনে ধর্মতলা সভা থেকে বাংলার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন। শহিদ মিনারে যেন উত্সতবের আমেজ। সভা থেকে তিনি বলেন, বিজেপিকে বাংলায় ক্ষমতায় আনুন। এদিন শহিদ মিনারের মঞ্চেই সংশ্লিষ্ট গানের মাধ্যমে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২মার্চ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন প্রচার কর্মসূচির ঘোষণার কথা রয়েছে। আর তার ঠিক আগের দিনই শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে বিজেপির নয়া ক্যাম্পেনের ফিতে কাটলেন অমিত শাহ।
শাহ, ‘বাংলার মানুষ আর কোনও অন্যায় সহ্য করবে না।’ শুক্রবার অবশ্য সাংবাদিক বৈঠকেই তাঁদের এই নয়া কর্মসূচির কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বাংলায় সিএএ, এনআরসি’র পক্ষে সমর্থন টানতেও এই নয়া কর্মসূচিকে কাজে লাগাবে বঙ্গ বিজেপি, এমনটাই শোনা গেল। বারবার বাধা বিজেপির সভায়। ৪০-এর বেশি বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে এ রাজ্যে। বিধানসভার লড়াই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বললেন, ‘আমাদের জয়রথ এভাবে আটকানো যাবে না। ২১-র বিধান্সভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ৫ বছরে সোনার বাংলা গড়ব। বাংলার মানুষ আর অন্যায় সহ্য করবেনা। স্লোগান তুলুন ‘আর অন্যায় নয়’। আজকের সভা থেকে শুরু আর নয় অন্যায় অভিযান। সিএএ কারুও নাগরিকত্ব যাবেনা। শরণার্থীদের ভয় নেই। উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দিতে সিএএ। নমঃশূদ্ররা নাগরিকত্ব পাবে। সিএএ মতুয়ারাও নাগরিকত্ব পাবে। এ লড়াই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে। বাংলায় স্বৈরতান্ত্রিক শক্তিকে হারান।
এদিন অমিত শাহ বলেন, শ্রীরামচন্দ্র, রামকৃষ্ণ, সুভাষচন্দ্রের মাটিকে প্রণাম। কোনও শাহজাদা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। নেওয়ার নয়। রাম মন্দির তৈরির কাঁটা ছিলেন মমতা। শরণার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় যেতে বলা হচ্ছে। আমি বলছি, কোত্থাও যেতে হবে না। যাঁরা উদবাস্তু তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি। বাংলায় ভ্রষ্টাচার ছড়িয়ে আছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের জন্য যেই টাকা বরাদ্দ করেছে তা দিয়ে রাজ্য সরকারের ভ্রষ্টাচারের উৎসব চলছে। ৯৭২৭২৯৪২৯৪ নম্বরে মিসডকল দিয়েই ‘আর নয় অন্যায়’ অভিযানের সঙ্গে জুড়বে সাধারণ মানুষ। সবাই এই নম্বর ডায়েল করুন বলে অমিত শাহ মন্তব্য করেন৷