ফুঁসছে গঙ্গা, জলমগ্ন মালদহের বিস্তৃর্ণ এলাকা

ফুঁসছে গঙ্গা, জলমগ্ন মালদহের বিস্তৃর্ণ এলাকা

 

মালদহ: প্রশাসনের আশঙ্কা সত্যি করে মালদহ জেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা জলমগ্ন৷ গঙ্গার জল ঢুকতে আরম্ভ করেছে এলাকায়। জল বন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের মহানন্দ টোলা গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিলাই মারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা জলবন্দি। গ্রামে কয়েকটি রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জল। সরকারি সাহায্যের দাবি জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। বিডিওকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদার জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র।

রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দ টোলা ও বিলাই মারি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই দুইটি গ্রাম পঞ্চায়েত ফুলহার ও গঙ্গা নদী দিয়ে ঘেরা। বন্যা এখানে প্রতি বছরের ঘটনা। এবারও গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জল ঢুকে আরম্ভ করেছে এলাকায়। দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তগত সাতটি গ্রাম জলমগ্ন। জল বন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। জলের তলায় প্রায় ৫০ বিঘা জমির ফসল। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে মালদা জেলার কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের (বৈষ্ণবনগর বিধানসভা এলাকা)বীরনগর এলাকায় শুরু হয়েছে ভয়াবহ গঙ্গাভাঙন৷

সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর: বিগত ১৫দিন ধরে চলছে ভাঙন। নদীর ভাঙণ প্রবনতা সবচেয়ে বেশী কালিয়াচক ৩নং ব্লক এলাকায়। এই এলাকার প্রায়  ৫০০মিটার জুড়ে অবিরাম ভাঙণ হচ্ছে।  পার অনুপনগর, গোলাপ মণ্ডলপাড়া, চিনাবাজার, লালুটোলা, ভীমাটোলা সহ প্রায় দশটি গ্রাম ভাঙনে বিপদগ্রস্ত। এই এলাকার বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, চাষের জমি সব তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গার গর্ভে। প্রায় দু’শতাধিক বাড়ি গঙ্গার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় এক হাজারের বেশী বাসিন্দা আজ সব হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন।

আর সেই গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় কয়েক শো বাড়ি৷ এখনও আতঙ্ক এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এই গঙ্গা ভাঙন রোধ করার জন্য এখনও পর্যন্ত ফরাক্কা ব্যারেজের  তরফ থেকে কোনো রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি৷  আর তারই প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ মালদা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিছিল করে গিয়ে ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান৷ দেওয়া হয় ডেপুটেশন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 4 =