কলকাতা: রাজ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সাধারন মানুষকে অগ্নি নির্বাপনের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ক্লাব, সংগঠনের পাশাপাশি রাজ্যের স্কুল শিক্ষার পাঠ্যক্রমেও অগ্নি নির্বাপনের প্রাথমিক পাঠ দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের দমকল বিভাগ। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত স্তরে স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ।
শহর এলাকায় বিভিন্ন ক্লাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন । বিভিন্ন স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই তিনি শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও মন্ত্রী জানান।আগুন নেভানোর বিভিন্ন সরঞ্জামের ব্যবহারও শেখানো হবে তাদের।
সুজিতবাবু বলেন, ‘স্কুলের কয়েক জন ছাত্রছাত্রীকে নির্বাচিত করে আগুনের মোকাবিলা করতে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সরকারি স্কুল ও সরকার পোষিত স্কুলে সে জন্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ছাড়াও আগুনের মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম দেওয়া হবে।’
যে কোনও জায়গায় আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর দমকল কর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। কিন্তু ততক্ষণে আগুন অনেক ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে পড়ে। সেজন্যই স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজের জন্য কিছু সরঞ্জাম বিতরনের পরিকল্পনাও করা হয়েছে ।
শহরে প্রাথমিকভাবে ঘন জনবসতি ও বস্তি এলাকার ক্লাবের সদস্যদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। দমকলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শহরে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ার জন্য পুলিশ ও দমকল দপ্তরের সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রয়োজনে আগামী দিনে গ্রিন করিডর করে দমকলকর্মীদের দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।এব্যপারে কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও একদফা আলোচনা করেছেন তিনি।
দুর্গাপুজোর আগে বাগড়ি মার্কেট পোড়ার সময় সেখানকার ঘিঞ্জি গলিতে দমকলের গাড়ি ঢুকতে বিস্তর সমস্যায় পড়েছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অপটু হাতে আগুনে জল ছুঁড়লেও বিশেষ সুবিধা হয়নি। আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।
দিন কয়েক আগে দমকলমন্ত্রী সুজিতবাবুর বিধানসভা কেন্দ্র বিধাননগরের দত্তাবাদে ১৯টি বাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। একটি ঘর থেকেই আগুন অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই দমকলকর্মীরা ছাড়াও আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণ সাধারণ মানুষের নেওয়া থাকলে সেটা আখেরে কাজে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।