বনগাঁ: বুথের বাইরে লম্বা লাইন৷ টানা রোদ উপেক্ষা করে তখন ভোটের লাইনে আম জনতা৷ কিন্তু, তাতে কী? ঘড়ি ধরে প্রায় ৪৫ মিনিট মধ্যাহ্ন ভোজন সারলেন প্রিজাইডিং অফিসার সহ চার ভোটকর্মী৷ ডাল-ভাত-রুই মাছের কালিয়ায় কামড় বসালেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে বনগাঁ রেলস্টেশন লাগোয়া রেলওয়ে প্রাথমিক স্কুলের ৯৫/২২৮ নম্বর বুথের ভোটকর্মীরা৷ মধ্যাহ্ন ভোজনের জেরে প্রায় ৪৫ মিনিট বন্ধ থাকে ভোটগ্রহণ৷
ভোট কর্মীরা যখন মধ্যাহ্ন ভোজনে ব্যস্ত, ঠিক তখন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষারত অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন ভোট৷ ৯৫/২২৮ বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব চললেও ঠিক পাশের বুথ ৯৫/২২৯- উৎসবের মেজাজে চলল ভোটগ্রহণ৷ ভোট বন্ধ রেখে কেন এই ভুড়িভোজের আয়োজন? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে প্রিজাইডিং অফিসারের মন্তব্য, ‘‘না খেলে কাজ হয় না কি৷ সারাদিন ধরে কাজ করছি৷ না খেলে কাজ করব কী ভাবে৷’ কিন্তু, ভোটগ্রহণ চালু রেখে ধাপে ধাপে একজন করে খেতে গেলেন না কেন? হঠাৎ কেন চারজন একসঙ্গে খেতে গেলেন? যদিও এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার৷
সকাল সাতটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রাহণের মধ্যে খাওয়ার জন্য কোনও বিরতি দেওয়া নেই ভোটকর্মীদের৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একজন ভোটকর্মী বিরতি নিলে অন্যজন তাঁর কাজ প্রাথমিক ভাবে সামলে নেন৷ কিন্তু, একসঙ্গে ভোট বন্ধ করে দল বেধে খেতে যাওয়া কখনই মেনে নিতে পারছেন না ভোটকর্মীদের একাংশ৷ তাঁদের দাবি, এই বিতর্ক মেটাতে অবিলম্বে ভোটকর্মীদের জন্য খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন কমিশন৷ তাতে একদিকে যেমন ভোটারদের সময় নষ্ট হবে না, ঠিক তেমনই ভোটকর্মীদের দিকেও আঙুল উঠবে না৷