কলকাতা: রাত পোহালেই রাজ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট গ্রহণ। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ৪টি জেলার ৩৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এদিন মোট ৩৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবার কথা থাকলেও মালদহের বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কারণে ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে এই কেন্দ্রের ভোট হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মালদহ জেলার ৫টি, মুর্শিদাবাদ জেলার ১১টি, কলকাতা উত্তরের ৭টি ও বীরভূম জেলার ১১টি কেন্দ্রে ভোট যুদ্ধ শুরু হবে। গত সাত দফা নির্বাচনে বারবার বিভিন্নভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতির ময়দান। বৃহস্পতিবার শেষ দফার নির্বাচনও যে ঘটনাবহুল হবে তা আর আশ্চর্য কি। এবারও অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস তাদের রিপোর্টে অষ্টম দফার ৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি কেন্দ্রে লাল সতর্কতার কথা জানিয়েছে।
মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা উত্তর ও বীরভূম- এই চার জেলা মিলিয়ে অষ্টম দফায় প্রতিদ্বন্দিতা করবেন ২৮৩ জন প্রার্থী। পিডিএস এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৮৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৪ জন প্রার্থীর নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। যার মধ্যে ৫০ জনের নামে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। দলগতভাবে দেখতে গেলে প্রধান দলগুলোর মধ্যে সিপিআইএমের ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭ জন প্রার্থীর নামে রয়েছে ফৌজদারি মামলা, যার মধ্যে ২ জন প্রার্থীর ক্ষেত্রে সেই মামলা গুরুতর। তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন (গুরুতর ৮ জন) ও বিজেপির ৩৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১ জন (গুরুতর ১৮ জন) প্রার্থীর নামে রয়েছে ফৌজদারি মামলা।
রাজ্যে শেষ দফার নির্বাচনে এমন মোট ১২ জন প্রার্থী আছেন যাদের নামে মহিলাদের বিরুদ্ধে করা অপরাধ সম্পর্কিত মামলা রয়েছে। অন্যদিকে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ অনুযায়ী ৬ জন প্রার্থী খুনের অপরাধে অভিযুক্ত। আবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা অনুযায়ী ১৭ জন প্রার্থীর নামে হত্যার চেষ্টা করার অপরাধের মামলা চলছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস অষ্টম দফার ৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি কেন্দ্রকে লাল সতর্কতার কথা জানিয়েছে। কোনও কেন্দ্রে যদি তিন বা তার বেশি প্রার্থী নিজেদের বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি মামলার কথা স্বীকার করে নেন তাহলে সেই কেন্দ্রকে লাল সতর্কতা তারা জানায় এডিএস। অন্যদিকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশের পরেও ফৌজদারি মামলা রয়েছে এমন প্রায় ২৩ শতাংশ ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলেনি।