কলকাতা: ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার দিনভর ভোটের উত্তাপে উত্তপ্ত হল রাজ্যের ৪ জেলার ৪৩টি কেন্দ্র। কোথাও চলল হামলা, কোথাও আবার দেওয়া হল হুমকি। এদিন তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল বিভিন্ন অঞ্চলে। এরই মধ্যে বিশাল জনসভা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সব নিয়ে এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাল সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধিরা। কোভিড প্রোটোকল না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন নিয়ে আগামীকাল ফের বৈঠকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ৷ রাজ্যের বর্ধিত করোনা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে এক দফায় নির্বাচন করা যায় কি না তা আরও একবার খতিয়ে দেখতে চায় কমিশন৷ আগামীকাল বিকেল চারটেয় ভিডিও কনফারেন্স করে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৈঠক করবে৷ এমনটাই কমিশন সূত্রে খবর৷ অন্যদিকে এদিন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ফের শেষ দুই দফা নির্বাচন একসঙ্গে করার আর্জি জানিয়েছে৷
বৃহস্পতিবার সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে সিপিআইএম নেতা শমীক লাহিড়ী সাংবাদিকদের জানান, “দেশ তথা রাজ্যে হাওয়ার গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। তার মধ্যেই কোভিড প্রোটোকল না মেনে প্রচার করছে তৃণমূল ও বিজেপি। এদিন মালদায় মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা সেটাই প্রমাণ করেছে। কোভিডবিধি ভাঙলে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন ৭২ ঘন্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে বললেও বিজেপি এবং তৃণমূল কেউই প্রচার বন্ধ করেনি। এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে কমিশনকে।”
এছাড়াও বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে বিভিন্ন অশান্তির ঘটনা উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। চাকুলিয়াতে বুথ দখলের ঘটনা, আমডাঙায় বোমাবাজি ইত্যাদির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধিদল। এদিনের ভোটগ্রহণ প্রায় শেষের পথে, তাই যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে কমিশনে।