কলকাতা: করোনা আবহে চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ উঠল আমেরিকা ফেরত বসিরহাটের এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। গত ১৭ মার্চ নিজের বাড়িতে ফেরার পর থেকে একেবারেই স্বভাবিক জীবন কাটাচ্ছিলেন। তথ্য গোপন করে কোনোরকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নিয়েই নিজের নার্সিংহোমে রোগী দেখেন। এমনকি অপারেশনও করেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি প্রতিবেশীদের নজরে এলে প্রতিবাদ জানান তারা। তবে তাদের সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলে আমেরিকা থেকে ফেরার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই ডাক্তার।
তিনি সবাইকে একথাই জানিয়েছেন যে তিনি বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছেন। সূত্রের খবর শুক্রবার বসিরহাট থানার পুলিশ ডাক্তারের বাড়িতে গিয়ে পাসপোর্ট দেখার পর আমেরিকা থেকে ফেরার কথা স্বীকার করেন ওই ডাক্তার। অবিলম্বে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এইকদিন তিনি কোথায় কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন সেবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। এরমধ্যে তিনি যে রোগীদের দেখেছেন তাদের আপাতত নিজেদের ঘরেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে ওই ডাক্তারের নার্সিংহোম। এই ধরনের ডাক্তারদের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছে বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই চিকিৎসকের লন্ডন ফেরত ছেলের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ছেলে বাড়িতে ফেরার পর কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রেও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রসঙ্গ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ওই ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল করার দাবি জানিয়েছে বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।