কলকাতা: এখনও জাঁকিয়ে বসেনি শীত৷ অগ্রহায়ণের শীতের আমেজে রীতিমত ঘাম ছোটাতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতির উত্তাপ৷ ২০২১ সালের নীলবাড়ি দখলের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কোমর বেঁধেছে শাসক বিরোধী শিবির৷ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে ইতিমধ্যেই রাজপথ দখলের লড়াই শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক শিবির৷ নতুন বছর আসতে আর বাকি দু’সপ্তাহ৷ লক্ষ্য এখন ২১-এর নির্বাচন৷ ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই বাংলায় অব্যাহত মিছিল-মিটিং-হিংসা৷ আর উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই এবার তিন দিনের রাজ্য সরকারের আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার৷ যদিও উপ নির্বাচন কমিশনার বাংলায় আসছেন, তা গত ১১ ডিসেম্বর সবার প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আজ বিকেল ডট কম৷
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ১৬ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন৷ তাঁর সঙ্গে থাকবেন নির্বাচন কমিশনে একটি প্রতিনিধি দল৷ ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় মধ্যকলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে ১৫টি জেলার জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, সিপিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ বিশেষ ভাবে এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরেকৃষ্ণ ত্রিবেদী, ডিজিপি বীরেন্দ্র, সাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে৷ পরের দিন ১৮ ডিসেম্বর সকালে মালদহ, বিকেলে শিলিগুড়িতে বৈঠক করবেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার৷
গত ১৮ নভেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া চলবে৷ এই ভোটার তালিকা সংশোধন পর্ব শেষ হওয়ার পর সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন উপ নির্বাচন কমিশনার৷ পাশাপাশি নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পারেন উপ নির্বাচন কমিশনার৷ রাজ্যের নির্বাচন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট জেলা শাসকদলের থেকে সংগ্রহ করতে পারেন তিনি৷ বাংলার পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখার পর দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে পারেন কমিশনার৷ ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে বাংলায় আসতে চলেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ৷ তারপর ঘোষণা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে নির্ঘণ্ট৷