কলকাতা: রাজ্যে বেপরোয়া করোনা। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সমস্যার শেষ নেই মৃত্যুর পরেও। করোনা রোগীর মৃত্যুর পরেও দেহ পড়ে থাকছে বাড়িতে। সৎকারের জন্য পুরসভার থেকে আসছে না কোনও শববাহী গাড়ি। কখনও ৭-৮ ঘন্টা, কখনও ১৬-১৭ ঘন্টা। মৃত্যুর পর হয়রানি হচ্ছে ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়েও। এই সংক্রান্ত নিয়মকানুনে এবারে শিথিলতা আনার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
সাম্প্রতিককালে রাজ্যে বহু এমন ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে করোনা রোগীর মৃতদেহ সৎকারের অভাবে দীর্ঘ সময় ধরে বাড়িতে পড়ে রয়েছে। রোগীর আত্মীয় পরিজনদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়েও। সেই সমস্যা থেকে এবার মুক্তি দিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার থেকে কোনও রোগীর বাড়িতে মৃত্যু হলে যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সরাসরি অথবা ভার্চুয়ালি তার চিকিৎসা চলছিল সেই চিকিৎসকও ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারেন। আবার এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতলে স্থানান্তরিত করার সময় যদি মাঝপথে করোনা রোগীর মৃত্যু হয় তবে যে হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন সেই হাসপাতাল থেকেই দেওয়া হবে তার ডেথ সার্টিফিকেট।
শনিবার একটি নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর করোনায় মৃত রোগীর সৎকার নিয়েও সমস্ত জটিলতার অবসান করল। এই বিষয়ে নির্দিষ্ট আধিকারিকদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলকাতা শহরের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে মৃত রোগীর আত্মীয় পরিজনদের কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। শহরতলীর জন্য সংশ্লিষ্ট পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আবার গ্রামীণ এলাকায় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বা ব্লক স্তরের স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন মৃত করোনা রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সৎকারের অভাবে দীর্ঘক্ষণ দেহ পড়ে থাকার যে অভিযোগ এসেছে তার জন্যেই এই নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের।