তমলুক: ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’র প্রভাবে যে কোনও সময় দ্রুত বদল হতে পারে পরিস্থিতি৷ প্রভাব ফেলতে পারে বাংলায়৷ এই পরিস্থিতি দাড়িয়ে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমনি, শঙ্করপুরে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও অত্যন্ত কড়াকড়ি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন৷
যেহেতু ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ আগামী ১ মে সন্ধ্যায় ওড়িশা উপকূলের দিকে মোড় নেবে, ফলে দিঘার জারি হয়েছে সতর্কতা৷ দিঘা সংলগ্ন সীমান্ত এলাকাজুড়ে ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চলছে৷ পর্যটকদের সমুদ্র নামার উপর জারি হয়েছে সকর্কতা৷ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। সমুদ্রের ঢেউ রীতিমতো উত্তাল। এই পরিস্থিতিতে দিঘায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পর্যটকদের সমুদ্রে নামা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।গোটা এলাকা জুড়ে চলছে সতর্কতা মূলক মাইকিং৷
সোমবার সন্ধ্যায় এক বিশেষ ওয়েদার বুলেটিনের মাধ্যমে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এদিন চেন্নাই উপকূল থেকে প্রায় ৮৭০ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে ‘ফনি’। ১ মে সন্ধ্যায় এটি ওড়িশা উপকূলের দিকে মোড় নেবে। এর প্রভাবে ওই দিনই বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি সামান্য বৃষ্টিও হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। ২ মে তারিখেও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলায় একই রকম ঝোড়ো হাওয়া (৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে) বইতে পারে। তবে পরের দিন অর্থাৎ ৩ মে দুই মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনা জেলায় হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত। ‘ফনি’র প্রভাবে এই ক’দিনে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর খুবই উত্তাল থাকবে।
পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার মৎস্যজীবীদের এই ক’দিনে সমুদ্রে পাড়ি না দেওয়ার জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরও ফিরে আসতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। এদিন ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই বিমান থেকে ব্রহ্মস মিসাইল পরীক্ষামূলকভাবে ছাড়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’র জন্য তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়।