তৃণমূলকে খুলে সমালোচনা করতে ইতস্তত সিপিএম, ব্যাতিক্রম শুধু বিকাশ!

তৃণমূলকে খুলে সমালোচনা করতে ইতস্তত সিপিএম, ব্যাতিক্রম শুধু বিকাশ!

 

কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস নেতা – রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক – সুব্রত মুখার্জি, ফিরহাদ (ববি) হাকিম গ্রেফতার হয়েছেন। একই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। নানান নাটকীয় টানাপোড়েনের পর রাত পর্যন্ত জামিন মেলেনি।

সম্পূর্ণ ঘটনাটি নিয়ে সিপিএম মধ্যবর্তি অবস্থান বজায় রেখেছে। সিবিআই-এর অভিযানের সময় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি জানান হয়েছে, বিজেপির মনে রাখা উচিত, রাজ্যের মানুষ তাদের চায় না। নির্বাচনের রায়ে তা স্পষ্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে, এই রায় বিজেপির বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়। মুখ্যমন্ত্রীকে মনে রাখতে হবে, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপির মত ভয়ঙ্কর শক্তিকে মোকাবিলা করা যায় না।

অনেকেই মনে করছেন, লোকসভার পর বিধানসভা নির্বাচনেও শূন্য হয়ে গিয়েছে সিপিএম। বিপণ্ন রাজনৈতিক অস্তিত্ব। একদা প্রতিদ্বন্দ্বী, পরম প্রতাপশালী তৃণমূল কংগ্রেসকে সমালোচনা করতে রীতিমত ইতস্তত করছে লাল পার্টি। কিন্তু, বিরোধী হিসাবে সিপিএমের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গিয়েছে। পার্টির রাজ্য কমিটি লিখিত বিবৃতিতে যা জানিয়েছে, তা পড়ে অনেক বাম মনস্ক মানুষ বিভ্রান্ত। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, পার্টি তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযুক্ত নেতাদের পাশেই দাঁড়িয়েছে। যদিও, একটি বড় অংশ মনে করেছে, সিপিএম অপূর্ব ‘ভারসাম্য’ দেখিয়েছে।

তবে ব্যাতিক্রম হয়ে রইলেন সিপিএম নেতা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে ফোনে বিকাশরঞ্জন ভট্টচার্য  বলেন,”দেখুন সন্ধেবেলায় জামিনের রায়ের কপি পড়লাম। আমার বা সাধারণ মানুষের মনে হয়েছে, বিষয়ের মূলে যাওয়ার চেষ্টা করেননি বিচারক। দায়সারা নির্দেশ দিয়েছেন। সিবিআই সঙ্গত কারণে আদালতে গিয়েছে।”

জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উল্লেখ করেছেন বিকাশ। তিনি বলেছেন, ”রাজনৈতিক নেতাদের চট করে জামিন দেওয়া ঠিক নয় বলে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। হাইকোর্টের নির্দেশে নারদাকাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই। এত হালকা চালে জামিন দেওয়া যায় না! আমার বিশ্বাস হাইকোর্ট বিচার বিবেচনা করে নির্দেশ দেবে।”

অন্য একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বিকাশ বলেছেন, সিপিএম শূন্য। তৃণমূল বিপুল সংখ্যা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে। তাহলে কী দুর্নীতিকে কী দুর্নীতি বলা যাবে না! তৃণমূলের নেতাদের সিবিআই গ্রেফতার করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যেতে গেলেন কেন? উনি নিজেই মহামারী আইন ভাঙছেন। সারা ভারতেই মহামারী আইন ভাঙছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 9 =