কলকাতা: ভোটের দামামা বাজিয়ে শহরে পা রাখল জাতীয় নির্বাচন কমিশেনর ফুল বেঞ্চ৷ আজ, বিকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখেন কমিশনের কর্তারা৷ আগামী দু’দিনের ঠাঁসা কর্মসূচি রয়েছে কমিশনের কর্তাদের৷আগামিকাল বৃহস্পতিবার, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারবেন আধিকারিকরা৷
কারা থাকছেন ফুল বেঞ্চে? নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বেঞ্চে রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা, সিনিয়ার ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার উমেশ সিনহা, ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সন্দীপ সাকসেনা, ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সন্দীপ জৈন, ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমার, ডিরেক্টর জেনারেল দিলীপ শর্মা, ডিরেক্টর জেনারেল ধীরেন্দ্র ওঝা ও অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল শেফালি শরন৷
লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷ কথা বলবেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও৷ ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ জানা গিয়েছে, আজ রাতেই এসপ্ল্যানেড চত্বরের একটি পাঁচতারা হোটেলে থাকবেন তাঁরা৷ বৃহস্পতিবার তাঁরা প্রথমে সবকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন৷ তারপর সবকটি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে দেখা করবেন৷ সবকটি পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলবেন৷ দেবেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ৷
বোঝার চেষ্টা করবেন নির্বাচনের জন্য সবকটি জেলা কতটা তৈরি৷ পরের দিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ও ডিজির সঙ্গে কথা বলবে ফুলবেঞ্চ৷ লোকসভা ভোট নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দফতরেও৷ সবকটি জেলা নির্বাচনের জন্য কতটা প্রস্তুত তা জানতে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি চলছে ট্রেনিং৷
পরে দুপুর থেকে রাজ্যের সবকটি পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক । কেননা, ফুল বেঞ্চের কাছে পেশ করতে হবে নির্বাচনের প্রস্তুতির রিপোর্ট । পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্টও জমা দিতে হবে ফুল বেঞ্চের কাছে । আর তাই শেষ কয়েকদিন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দফতরের কর্তারা প্রায় রাত জেগে প্রস্তুত করছেন রিপোর্ট । সেই রিপোর্ট তৈরি প্রায় শেষ । নির্বাচন কমিশন থেকে যে নির্দেশ নবান্নে পৌঁছেছে, সেই নির্দেশ পৌঁছে গেছে সবকটি জেলার সদরে । সাধারণভাবে বদলির নির্দেশ প্রতি নির্বাচনের আগেই দেয় নির্বাচন কমিশন৷
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় পুলিশ ও প্রশাসনের অফিসারদের বদলি নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে৷ বলা হয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বদলি সম্পূর্ণ করতে হবে৷ সেইমত সোম ও মঙ্গলবার কয়েকটি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ অফিসারদের বদলি করা হয়েছে৷
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেউ যদি একই জায়গায় চারবছর কিংবা ৩১ মে ২০১৯-এর মধ্যে তিন বছর কর্তব্যরত থাকেন তাঁকেও বদলি করতে হবে৷ ৩১ মে ২০১৭ সালের মধ্যে যে সমস্ত নির্বাচন এবং উপ-নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনে যারা ডেপুটি ইলেকশন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তাঁদেরও করতে হবে বদলি৷ একই কাজ করতে হবে পুলিশ ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরদের ক্ষেত্রেও৷
১ মার্চ শুক্রবার৷ শুধু ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে বাধা নেই৷ ৪ মার্চ সোমবার৷ সেদিন আবার শিবরাত্রি৷ আর তাই ১ মার্চ ঘোষণা না হলে, নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে ৫ মার্চ৷ যদিও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি৷ তবে নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা গেছে, মার্চ পয়লাতেই ঘোষণা হবে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট৷