কলকাতা: বাংলার রাজনীতিতে একটি অধ্যায়ের অবসান৷ প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র৷ দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর প্রয়ান হয়৷ বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর৷ শোকবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও বাম নেতৃত্ব৷ কিন্তু, বর্ষীয়ান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর শেষ শ্রদ্ধাকে কেন্দ্র করে বেনজির ঘটনার স্বাক্ষী থাকল বিধানসভা৷
আরও পড়ুন- সোমেন মিত্রর রাজনৈতির জীবনেও ঘটেছিল একাধিক পালাবদল
বুধবার গভীর রাতে বাংলার রাজনীতির ময়দানকে বিবাদ জানিয়েছেন বর্ষীয়ান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র৷ সকাল থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে শুরু হয়েছে শেষ শ্রদ্ধা জানানো পালা৷ বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সোমেনবাবু মরদেহ দু’টি বাড়ি, প্রদেশ কংগ্রেসের দফতর থেকে বিধানসভায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু, পূর্বনির্ধারিত সূচিতে কোনও পরিবর্তন না ঘটলেও সময়ে বেশ খানিকটা রদবদল ঘটেছে শেষ মুহূর্তে৷ পরিবার, কর্মী-সমর্থকদের ভিড়, আনুষ্ঠানিকতা পালনে বেশ খানিকটা দেরি হয়েছে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী৷ কিন্তু, বিধানসভায় সোমেন মিত্রর মরদেহ আসতে দেরি হওয়ায় বেনজরির ঘটনার ঘটল রাজ্য বিধানসভার অন্দরে৷
আরও পড়ুন- ‘ছোড়দা’র প্রয়াণে মর্মাহত বাংলা, সোমেনহীন বঙ্গ রাজনীতির ময়দান
আজ দুপুরে সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় উপস্থিত হন শাসক-বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক৷ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু, এক ঘণ্টা অপেক্ষা করা পরও সোমেন মিত্রর মহদেহ বিধানসভায় না আসায় অসন্তুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী৷ সোমেন মিত্রর মহদেহ রাখার জন্য নির্দিষ্ট টেবিলে ফরিহাদ হাকিমের হাত দিয়ে ফুলের স্তবক রেখে বিধানসভা ছেড়ে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ বিধানসভা ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি এক ঘণ্টা অপক্ষা করেছেন৷ কিন্তু, দেহ আসেনি৷ ফলে, অন্য কাজে তাঁর দেরি হচ্ছে৷ ফলে, সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আনা ফুলের স্ততব নির্দিষ্ট স্থানে রেখে বিধানসভা ছেড়ে নবান্নে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ পরে, বিধাসভায় সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধ জানান অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রীরা৷