ঘাটালে বন্যার জলে নেমে কেন্দ্রকে দুষে বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর

ঘাটালে বন্যার জলে নেমে কেন্দ্রকে দুষে বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর

56de642d7c82f6cdccb1b7714f2bf8e1

 

ঘাটাল: ফের বাংলার বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকেই দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার জলমগ্ন ঘাটালে পৌঁছে দুর্গতদের মাঝে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘাটাল নিচু এলাকা৷ ফি-বারই ঘাটালের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়৷ তাই আমরা বারংবার বলছি, মাস্টার প্ল্যানের কথা৷ কিন্তু কেন্দ্র কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না৷’’

এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম থেকে ঘাটালে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী৷ ঘাটালের অনকুল আশ্রমের মাঠে তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী হেলিপ্যাড৷ সেখানে কপ্টার থেকে নেমে ময়রাকাটায় পৌঁছাবেন মমতা৷ কথা বলেন বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে৷ মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব ওরফে দীপক অধিকারী, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি প্রমুখেরা৷ ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও৷

শুধু আকাশ পথে এলাকা পরিদর্শন নয়, কপ্টার থেকে নেমেই সোজা অকুস্থলে পৌঁছান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷ রীতিমতো বন্যার জল ভেঙে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন৷ জেলা শাসক রশ্মী কমলকে নির্দেশ দেন, আরও কিছু নতুন ত্রাণ শিবির চালু করার৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘যত দিন না জল নামবে ততদিন অসহায় মানুষদের জন্য ত্রাণ শিবির রাখা হবে৷’’

টানা ১১দিন ধরে জলবন্দী ঘাটাল মহকুমার বিস্তৃর্ণ এলাকার মানুষ। ঘাটালের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়াও পুরসভার ১২টি ওয়ার্ড এখনও জলমগ্ন। এখনও বেশ কিছু মানুষ রয়েছেন ত্রাণ শিবিরে৷ এবারের বন্যায় নিহত ১৯ জনের মধ্যে ১০ জনই ঘাটাল মহকুমার৷ পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারকে দুষে মমতা বলেন, ‘‘ঘাটালের তিন দিকে নদী৷ এলাকাটা নিচু৷ অথচ ডিভিসি বলা নেই কওয়া নেই আচমকা জল ছেড়ে দিচ্ছে৷ ফলে শিলাবতীর জলে প্রতিবছরই প্লাবিত হচ্ছে ঘাটাল৷’’

অভিযোগ করেছেন, ‘‘আমরা বারংবার বলছি, ঘাটালে মাস্টার প্ল্যান জরুরি৷ কিন্তু কেন্দ্র কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না৷’’ সম্প্রতি চলতে থাকা একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমপান, ইয়াস, তারপর এই ম্যান মেড বন্যা৷ ফের আবার বৃষ্টি হবে৷ অথচ কেন্দ্র ন্যূনতম সাহাযও করছে না৷ কলকাতায় ফিরে গিয়ে এবিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে রিপোর্ট তৈরি করব৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *